আর্কাইভ  সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫ ● ২১ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

ড. ইউনূসের পর কারা হতে যাচ্ছেন মিরাকেল সরকার!

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, রাত ০৯:৫৬

Advertisement

নিউজ ডেস্ক : গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে পালিয়ে গিয়েছিলেন স্বৈরাচার হাসিনা। শত শত ছাত্র-জনতার রক্তস্রোত ও অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আসে নতুন বিজয়।

জনগণের চাওয়ায় গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

সরকারে থাকা নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, যে কারণে অভ্যুত্থান হয়েছে, সেই কারণগুলো সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতার সরকার দেশের নেতৃত্বে থাকবে। 

ইতোমধ্যে অন্তবর্তীকালীন সরকার জানিয়েছে  ২০২৫-এর শেষদিকে বা ২০২৬ এর প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।

এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ড. ইউনূসের পর কে ক্ষমতায় আসবে? বিএনপি-জামায়াত, নাকি অন্য কেউ। অন্তর্বর্তী সরকারের বিশ্বস্ত সূত্রগুলো ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কোন দল নির্দিষ্টভাবে ক্ষমতায় আসবে— তা এখনো ধারণা করা মুশকিল।

কারণ হাসিনার পতন কোনো রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে হয়নি। ছাত্র, শ্রমিক, সাধারণ মানুষের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। হাসিনার বিদায়টা যেমন ‘মিরাকেল’ আকারে হয়েছে, যা কয়েক ঘণ্টা আগেও ধারণা করা যায়নি; ঠিক তেমনই ড. ইউনূসের পর কোন দল বা কারা ক্ষমতায় আসবে, তাও ধারণার বাইরে থাকবে। মিরাকেল আকারেই কিছু হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।  

রাজনীতিতে দৃষ্টি রাখা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাসিনার পতনের পরপরই দেশে বহু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, চুরি-ডাকাতিসহ বহু ঘটনার জন্ম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। প্রতিবিপ্লবেরও চেষ্টা হয়েছিল কয়েকবার। ৩-৪ দিন সরকার ছাড়াই দেশ চলেছে সুশৃঙ্খলভাবে। তখন ছাত্র-জনতা মাঠে থেকে সবকিছুই রুখে দিয়েছে। বিপ্লব ঘটানো ছাত্রনেতৃত্বের ওপর মানুষের বিশ্বাস বেড়েছে অনেক।

স্বৈরাচার হাসিনার রূপ এখন আর কেউ দেখতে চাইবে না। অনেকে মনে করছেন, ড. ইউনূস যে কদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন চলবে বিএনপি-জামায়াতের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর রাজনৈতিক পূর্ণশক্তি নিয়ে মাঠে নেমছে এই দুটি দল। অধিক স্বাধীনতায় তারা যদি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার বা কোনো ভুল করে, তাহলে তারা জনবিচ্ছিন্ন হতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। 

ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে বিভিন্ন ধরনের সমীকরণ তৈরি হয়েছে। একসময়কার বিএনপি-জামায়াতে দূরত্ব তৈরি হয়েছে ভোট প্রসঙ্গ নিয়ে। 

ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে গঠন হচ্ছে বৃহৎ ইসলামি জোট। দলগুলোর সঙ্গে ইতিপূর্বেকার মতবিরোধের দূরত্ব কেটে যাচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন ঝুলে থাকা নাগরিক ঐক্য, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে। আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ জামায়াতও সিদ্ধ হলো।

বন্যা ইস্যুতে মানুষের সহানুভূতি পেতে পূর্ণশক্তি নিয়ে কাজ করে করেছিল বিএনপি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, ছাত্রদল, যুবদল সবাই নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ত্রাণ কাজে নিজেদের ব্যস্ত ছিলেন দেশের দূর্যোগকালীন সময়ে । একই কাজ করছে জামায়াতও। সব দলই ভোটারদের কাছে টানতে ইস্যু নিয়ে চাঙ্গা রাজনীতি করে যাচ্ছে।  তবে এত সক্রিয়তার মধ্যেও বেলা শেষে ভোটের সমীকরণে মিরাকেল কিছুই আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

মন্তব্য করুন


Link copied