আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবসে বিজয় শোভাযাত্রা

সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, দুপুর ০৩:১৮

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী॥ নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে নীলফামারীতে বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর জাতীয় পতাকা বহন করে এক বিজয় শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে বীর শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালণ করা হয়। 
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক। এতে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি ভুষণ কুন্ডু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। 
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কান্তি ভুষন কুন্ডু জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীর দামাল ছেলেরাও দেশ মাতৃকাকে হানাদারমুক্ত করতে ঝঁপিয়ে পড়েন। পাক হায়েনারা যুদ্ধের নামে বাংলার স্বাধীনচেতা মানুষদের হত্যাযজ্ঞসহ নির্যাতন ও ধর্ষণে মেতে উঠে। 
পাক হানাদার বাহিনী নীলফামারী সরকারী কলেজ, কলেজ ছাত্রাবাস ও ভকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে গড়ে তুলে সেনা ক্যাম্পের নামে শক্ত ঘাটি। বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী পুরুষকে ধরে এনে এসব ঘাটিতে করা হতো নির্মম নির্যাতন ও ধর্ষণ। তারা নির্বিবাদে চালায় হত্যাযজ্ঞ। তিনি বলেন, টানা ৯মাসের যুদ্ধে ক্যাপ্টেন বাশার, আলী হোসেন, আহমেদুল হক প্রধান, আনজারুল হক ধীরাজ, জাহেরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, মিজানুর রহমান, মির্জা হাবিবুর রহমান বেগসহ ১৭জন বীর যোদ্ধা শহীদ হন। দেশ মাতৃকাকে হানাদারমুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের চোরাগোপ্তা হামলা ও সম্মুখ যুদ্ধে অনেক পাক সেনা নিহত হয়। ১৩মার্চ পাক হায়েনাদের শক্ত ঘাঁটি নীলফামারী সরকারী কলেজ সার্চ করে ৩জন নির্যাতিত নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। 

মন্তব্য করুন


Link copied