স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন রবিবার(১৭ ডিসেম্বর) নীলফামারীর ৪টি আসনের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন।
নীলফামারী জেলা রির্টানীং অফিসার জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ জানান, নীলফামারী ১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন ২ জন। এরা হলেন জাকের পাটির লতিবালী রহমান লতিফ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুল আলম বাবুল।
নীলফামারী ২ (সদর) আসনের ৫জন প্রার্থীর মধ্যে ১ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। তিনি হলেন জাকের পার্টির আবু সাঈদ।
নীলফামারী ৩ (জলঢাকা) আসনে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন ২ জন। এরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও জাসদের অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম।
নীলফামারী ৪ (সৈয়দপুর- কিশোরীগঞ্জ) আসনে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের জাকির হোসেন বাবুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াৎ হোসেন।
সুত্র মতে, যে দুইটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছে সেই দুটি আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন নীলফামারী ৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল ও নীলফামারী ৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান আদেল। অপর দুইটি আসনের মধ্যে নীলফামারী ১ আসনে আওয়ামী লীগের আফতাব উদ্দিন সরকার ও নীলফামারী ২ আসনে আসাদুজ্জামান নুর প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন।
এছাড়া আওয়ামীলীগের ওই দুইটি আসনে জাতীয় পার্টির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোট করবেন। এরা হলেন নীলফামারী ১ আসনে তছলিম উদ্দিন ও নীলফামারী ২ আসনে শাহজাহান আলী চৌধুরী।
অপর দিকে নীলফামারী ৩ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে রয়েছে চারজন। এরা হলেন জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মার্জিয়া সুলতানা, জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু সাইদ শামীম, উপজেলা যুবলীগের সহ সাধারন সম্পাদক হুকুম আলী খান এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাদ্দাম হোসেন পাভেল।
নীলফামারী ৪ আসনে আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি মোকছেদুল মোমিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন। এই আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি সিদ্দিকুল আলম দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়ে গেলেন।