আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৯ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৯ অক্টোবর ২০২৫
একদিনের ব্যবধানে ৬৯০৬ টাকা বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস

একদিনের ব্যবধানে ৬৯০৬ টাকা বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস

ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম তৈরিতে লাইভ টিভি ও নেক্সট টিভিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা

ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম তৈরিতে লাইভ টিভি ও নেক্সট টিভিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা

বিএনপি নেতা আনিসুরের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

বিএনপি নেতা আনিসুরের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

রোববার ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

রোববার ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

পঞ্চগড়ে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ, বিচারকের হস্তক্ষেপে আদালতে বিয়ে

সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২, রাত ০১:৪৮

Advertisement

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১৭ বছরের সংসার। দাম্পত্য কলহের জেরে প্রায় ছয় মাস আগে স্ত্রী আকতারা বানুকে (৩৬) তালাক দিয়েছিলেন স্বামী শাহানুর ইসলাম (৪২)। এতে ভেঙে যায় ওই দম্পতির সংসার। এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী গত ৩০ মার্চ আদালতে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করলে অবশেষে বিচারকের হস্তক্ষেপে পুনরায় বিয়ের মাধ্যমে আবারো সংসার শুরু করলো ওই দম্পতি।

 

রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে বিচারকের খাস কামরায় মাওলানা ডেকে দুই আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের আবারো বিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে তিন শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে এবং আদালতের বিচারকের কথা শুনে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া দম্পত্তি আবার বিয়ে করলেন। 

 

বাদী পক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বলেন, আমরাও চেয়েছিলাম তাদের সংসারটি টিকে থাকুক। বিচারক মহোদয় আমাদের সেই সুযোগটি করে দিয়েছেন।

 

আসামী পক্ষের আইনজীবী হাজিজুর রহমান বলেন, খুব সামান্য বিষয়েই তালাক দিয়েছিলেন শাহানুর। বিচারক মহোদয়ের সাথে আমরাও তাদের সংসারে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানাই। এই বিচারে একটি সংসার রক্ষা পেলো। 

 

এদিকে জানা যায়, জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের বারপাটিয়া এলাকার কৃষক শাহানুর ইসলাম (৪২)। তিনি দাম্পত্য কলহের জেরে প্রায় ছয় মাস আগে স্ত্রী আকতারা বানুকে (৩৬) তালাক দিয়েছিলেন। এতে ভেঙে যায় ওই দম্পতির ১৭ বছরের সংসার। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পর বাবা-মা দুজনেই বিপাকে পড়েন তাদের দুই মেয়ে এক ছেলে। এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে গত ৩০ মার্চ আদালতে যৌতুকের দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন স্ত্রী আকতারা বানু। মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযক্তের নামে সমন জারি করে আদালত। ওই মামলায় রোববার আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন শাহানুর। তার প্রস্তুতি ছিলো আদালতেই দেনমোহরের এক লাখ এক হাজার টাকা পরিশোধ করে দিবেন স্ত্রীকে। কারাগারে গেলেও স্ত্রীর সাথে তিনি আর সংসার করবেন না। তবে আদালতের এজলাসে উপস্থিতিরি পর ঘটে গেল নাটকীয় ঘটনা। 

 

আদালতে অন্যদের সাথে তাদের তিন সন্তানও উপস্থিত হয়েছিলেন। সন্তানদের দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তাদের বাবা-মা। জামিন আবেদনের শুনানির সময় বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান তিন সন্তানের দিকে চেয়ে তাদের কলহ ভুলে সংসারে ফেরার অনুরোধ জানান। কিছুক্ষণ চিন্তার এক পর্যায়ে দুজনেই সংসারে ফিরতে সম্মত হন। 

 

এরপর বিচারকের খাস কামরায় মৌলানা ডেকে দুই আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক এক হাজার টাকা নগদ দেনমহরানায় তাদের আবারো বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ে পড়ান আদালত মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল খালেক। আপোষনামা দাখিল করার পর আইনী প্রক্রিয়া শেষে তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরেন ওই দম্পতি।

 

মন্তব্য করুন


Link copied