আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

বরিশালের মেয়ে মডেল শান্তা ‘গুপ্তচর কি না’ খতিয়ে দেখছে ভারতের পুলিশ

রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, রাত ০১:০২

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার পরও ভারতীয় ভোটার ও আধার কার্ড সংগ্রহের অভিযোগে গ্রেপ্তার মডেল ও অভিনেত্রী শান্তা পালের বিষয়ে তদন্তের পরিসর বাড়িয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। জিজ্ঞাসাবাদে তার বক্তব্যে অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় ভোটার ও আধার কার্ড ২৮ বছর বয়সী শান্তা পেলেন কীভাবে, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে তার বন্ধু বাংলাদেশি নাগরিক সুমন চন্দ্রশীলের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে, যার নাম জিজ্ঞাসাবাদের সময় উঠে আসে। অর্থের বিনিময়ে অন্য কোনো দেশে শান্তা তথ্য সরবরাহ করেছিলেন কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারণ বিলাসী জীবনযাপন করা শান্তাকে ভারত-চীন সীমান্তের নাথু লা পাস, দীঘা ও গ্যাংটকে গিয়ে ভিডিও ধারণ করতে দেখা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বরিশালের মেয়ে শান্তা কলকাতার যাদবপুরের বিজয়গড়ে এক ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার সম্পর্কে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, একজন সফল বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী ভুয়া নথি ব্যবহার করে কেন ভারতে অবস্থান করছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। শান্তার কাছ থেকে দুটি আধার কার্ড পাওয়া গেছে। তার মধ্যে একটি ২০২০ সালে বর্ধমানের একটি ঠিকানায় তাঁর নামে নিবন্ধিত। অন্যটি কলকাতার ঠিকানা দেওয়া আছে। এসব নথি কীভাবে সংগ্রহ করেছেন, সে বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি এই মডেল।পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, শান্তার বন্ধু সুমন চন্দ্রশীলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের সহজেই ভারতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া উদ্বেগের বিষয়।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যাদবপুরের বিজয়গড়ে শান্তার বাড়ি তল্লাশির সময় কর্মকর্তারা তার বন্ধু সুমনের আধার কার্ড এবং দক্ষিণ কলকাতার উপকণ্ঠে বেহালার আনন্দগড় এলাকার একটি ঠিকানা পান। সুমন বেহালার এক নারীকে বিয়ে করেন এবং ওই ঠিকানা থেকে আধার কার্ডটি সংগ্রহ করা হয়েছিল।

এদিকে বেহালার স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, সুমনকে বহুদিন ধরে এলাকায় দেখা যায়নি। বিজয়গড়ে শান্তার বাসা থেকে বেশ কিছু ব্যাংক-সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার করে পুলিশ। 

জিজ্ঞাসাবাদে এই মডেল জানান, কলকাতায় একটি হোটেল খোলার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। সে জন্য ব্যাংকঋণ নেওয়ার কথাও ভাবছিলেন। হোটেলটির অর্থায়নে কারা ছিলেন এবং এতে কোনো অংশীদারি ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বাংলাদেশে কয়েকটি মডেলিং প্রতিযোগিতায় শান্তা অংশ নেন বলে জানা গেছে। তার ভাষ্য, ভারতে একটি তেলুগু ছবিতে কাজ করছেন তিনি। টালিউডের এক তারকার সঙ্গে আরেকটি ছবি করারও কথাবার্তা চলছে।

মন্তব্য করুন


Link copied