আর্কাইভ  সোমবার ● ২০ অক্টোবর ২০২৫ ● ৫ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২০ অক্টোবর ২০২৫
লালমনিরহাটের নয়টি ইউনিয়নের ৫৬ ইউপি সদস্যের আ'লীগ-জাপা থেকে গণপদত্যাগ

লালমনিরহাটের নয়টি ইউনিয়নের ৫৬ ইউপি সদস্যের আ'লীগ-জাপা থেকে গণপদত্যাগ

রংপুরের পীরগঞ্জে টাকা না দেওয়ায় দাদিকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় নাতি গ্রেফতার

রংপুরের পীরগঞ্জে টাকা না দেওয়ায় দাদিকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় নাতি গ্রেফতার

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট বন্ধ ঘোষণা

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট বন্ধ ঘোষণা

রংপুরে টেকসই নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা  প্রণয়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রংপুরে টেকসই নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বর্ষা মাহিরের প্রেমের বলি জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ১০:১২

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনের খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা জানিয়েছেন, বর্ষা ও তার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমানের প্রেমের জেরে খুন হয়েছেন জবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন। তবে জোবায়েদের এই খুনের বিষয়ে ছাত্রী বর্ষা কিছু জানতেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার সকালে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বর্ষাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সমকালকে এসব তথ্য জানান। 

ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ছাত্রী বর্ষার সঙ্গে মাহির রহমানের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাহির রহমান বোরহান উদ্দীন কলেজে প্রথম বর্ষে পড়েন। আর বর্ষা পড়তেন ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে। ছোটবেলা থেকেই পাশাপাশি বাড়িতে তারা বেড়ে উঠেন। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মধ্যে ছিল প্রেমের সম্পর্ক। চতুর্থ শ্রেণি থেকে একে অপরকে পছন্দ করতেন। কিন্তু তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্কের ভেঙে যায়।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক এবং একসঙ্গে বেড়ে উঠায় বর্ষার সঙ্গে তার সাবেক প্রেমিক মাহিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। বর্ষ তার সাবেক প্রেমিক মাহিরকো জানান, তিনি জোবায়েদকে পছন্দ করেন। কিন্তু জোবায়েদকে তিনি তার পছন্দের কথা এখনও জানাননি।

রফিকুল ইসলাম আরও জানান, জোবায়েদের সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তবুও বর্ষার কথার ওপর ভিত্তি করে রাগে ক্ষোভে মাহির রহমান তার বন্ধুকে নিয়ে জোবায়েদকে খুন করেন। মূলত এটা প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে খুন।

ওসি আরও বলেন, বর্ষার মধ্যে কোনো হতাশা বা অনুশোচনা নেই। তার চেহারায় কান্নার ছাপও পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও বর্ষার মধ্যে  কোনো নার্ভাসনেসও পাওয়া যায়নি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বর্ষাকে চিন্তামুক্ত দেখা গেছে। আমরা আরও তদন্ত করব। পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জানানো হবে আনুষ্ঠানিকভাবে।

নিহত জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। গত এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানিটোলার ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীব বিজ্ঞান পড়াতেন। ওই ছাত্রীর বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। 

গতকাল রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিনতলায় খুন হন জোবায়েদ হোসাইন। ওই বাসার তিনতলার সিড়ি থেকে নিচতলার সিড়ি পর্যন্ত রক্ত পড়ে ছিল। সেখানে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় জোবাইদকে।

এরপর খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জবির শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন। রাত ১১টার দিকে ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ তাকে থানা হেফাজতে আটকে রাখে। রাত ১০টা ৫০ মিনিটে খুন হওয়া জোবাইদ হোসাইনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয় পুলিশ। 

মন্তব্য করুন


Link copied