আর্কাইভ  রবিবার ● ৯ নভেম্বর ২০২৫ ● ২৫ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৯ নভেম্বর ২০২৫
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, মধ্যরাতে প্রজ্ঞাপন

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, মধ্যরাতে প্রজ্ঞাপন

লালমনিরহাটে আ'লীগ-জাপার ৫৬ ইউপি সদস্যের বিএনপিতে যোগদান

লালমনিরহাটে আ'লীগ-জাপার ৫৬ ইউপি সদস্যের বিএনপিতে যোগদান

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাঘাঁটি বাড়াচ্ছে ভারত

শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, বিকাল ০৫:৩৫

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে শিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত অঞ্চলে আরও সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। উত্তরবঙ্গের ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত শিলিগুড়ি করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে। এই অঞ্চল চারদিক থেকে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও চীনের ঘেরা বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

এর মধ্যে ভারতের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সীমান্তের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে আসাম রাজ্যের ধুবড়ি শহরে একটি ঘাঁটির ভিত্তি স্থাপন করেন। এর নাম রাখা হয়েছে ‘লাচিত বোরফুকান মিলিটারি স্টেশন’। এটি এসেছে আসামের ১৭ শতকের কিংবদন্তি কমান্ডার লাচিত বোরফুকানের নাম থেকে। বলা হয়ে থাকে, তিনি মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের সবচেয়ে কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামরিক স্টেশনটি শিলচরের মাসিমপুরে অবস্থিত। যার অবস্থান বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে। সেই তুলনায় নির্মিত লাচিত বোরফুকান মিলিটারি স্টেশন বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বেশ কাছাকাছি।

আরেকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তের ধুবড়ির কাছে বামুনি, বিহারের কিশনগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের চোপড়ায় এই তিন নতুন ঘাঁটি তৈরি করা হয়। এই পদক্ষেপ ভারতের পূর্ব সীমান্তে প্রতিরক্ষা জোরদার করার বড় পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো, ট্যাকটিক্যাল ঘাটতি পূরণ করা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চিকেনস নেককে অনেকে ভারতের দুর্বল অংশ মনে করলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একে দেশের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা করিডর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট একটি সেনা সূত্র জানায়, শিলিগুড়ি করিডর বহুস্তরীয় নিরাপত্তাবলয়ে সুরক্ষিত। নতুন ঘাঁটিগুলো আমাদের দ্রুত চলাচল, লজিস্টিকস এবং রিয়েল টাইম গোয়েন্দা তথ্য সংহত করার ক্ষমতা আরও বাড়াবে। 

এর আগে, ভারতীয় সেনাপ্রধানও বলেছিলেন, চিকেনস নেককে আমি দুর্বল অংশ হিসেবে দেখি না। এটি আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অঞ্চল। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থানরত আমাদের সব বাহিনী এখানে একত্রে মোতায়েন করা যায়। 

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিলিগুড়ির কাছে সুখনায় অবস্থিত ত্রি-শক্তি কর্পস (৩৩-কর্পস) এই করিডরের প্রতিরক্ষা তদারক করে। আকাশপথে করিডরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে পশ্চিমবঙ্গের হাশিমারা বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন রাফাল যুদ্ধবিমান। এমনকি মিগ সিরিজের বিমান এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্টও রয়েছে।

এ ছাড়া, ভারত এই অঞ্চলে একটি উন্নত তিন স্তরের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করেছে, যেখানে রয়েছে রাশিয়া থেকে আনা এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, ইসরায়েল ও ডিআরডিওর যৌথভাবে তৈরি এমআরএসএএম সিস্টেম এবং দেশীয় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। 

এই তিনটি মিলেই পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসা বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা কাভারেজ দেয়। তবে এই অঞ্চলে এস-৪০০ সিস্টেম মূলত চীন বা অন্য শত্রুপক্ষের বিমান অনুপ্রবেশ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে স্থাপন করা হয়েছে বলে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

মন্তব্য করুন


Link copied