আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

১১ অধ্যাদেশ ও ৩ প্রস্তাব অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ

১১ অধ্যাদেশ ও ৩ প্রস্তাব অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ

হত্যার পর মা-বাবাকে ঘরের ভেতরে পুঁতে রাখেন ছেলে

হত্যার পর মা-বাবাকে ঘরের ভেতরে পুঁতে রাখেন ছেলে

বাংলার বাহারি পিঠা নিয়ে মেতে উঠেছে নীলফামারীতে তিনদিন ব্যাপী পিঠা উৎসব

বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪, রাত ১০:৪৮

Advertisement

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ বাঙালির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যদ্রব্য পিঠা। হাজার বছর ধরে বাঙালির উৎসব-পার্বণে অনিবার্য উপাদান হিসেবে এই খাদ্যটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে। পিঠার নামে যেমন বৈচির্ত্য রয়েছে তেমনি স্বাদে-গন্ধেও রয়েছে বিশেষত্ব। 
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘মাছে ভাতে বাঙালি, ঐতিহ্যমন্ডিত পিঠা-পুলি, রন্ধন আর পিঠার বাহারে শিল্পী আছে ঘরে ঘরে”-এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীতে তিনদিন ব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
বুধবার(৩১ জানুয়ারি) বিকাল বুধবার বিকাল ৩ টা থেকে শহরের শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে পিঠা উৎসব শুরু হয়। এতে ১২টি স্টল স্থান পেয়েছে। এছাড়া পিঠা উৎসবে প্রতিদিন থাকছে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
এরপর স্থানীয়ভাবে ফিতা কেটে তিনদিন ব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধণ করেন স্থানীল সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) সাইফুর রহমান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফারুক আল মাসুদ,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
এদিকে পিঠার নাম শুনলেই জিভে জল আসে না এমন বাঙালি পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে শীতে পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পিঠা উৎসব আয়োজনে মানুষ আগ্রহ নিয়ে ফিরে আসছে পিঠা খাওয়ার ধুম। সেই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় পিঠা উৎসব পরিষদ যৌথভাবে আয়োজন করেছে পিঠা উৎসবের।  
এদিকে বিকাল ৩টা থেকেই শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গন লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। স্টলে স্টলে লোকের ভিড় দেখার মতো ছিল। বড়দের পাশাপাশি ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা দিয়েছে তাদের স্টল। ছিল বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন আকারের পিঠা। 
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আরিফুজ্জামান জানান, একসময় পাড়ায়, মহল্লায়, ছোট-বড় সবাই ঐতিহ্যবাহী বাহারি পিঠা খাওয়ার আনন্দে মেতে উঠতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাচ্ছে অনেক। নগরের এ ব্যস্ত জীবনে বাড়ির উঠানে পিঠা তৈরির সেই আমেজ হারিয়ে যাচ্ছে অনেকটা। তাই অঞ্চলভিত্তিক বিশেষায়িত ও লুপ্তপ্রায় পিঠা শিল্পকে তুলে আনার লক্ষ্যে সারা দেশে জাতীয় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
উল্লেখ যে, তিনদিন ব্যাপী পিঠা মেলা শেষে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সনদ প্রদান করা হবে। 

মন্তব্য করুন


Link copied