আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

বালিয়াডাঙ্গীতে সাপের কামড়ে নারী ও শিশুর মৃত্যু

রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪, রাত ০৯:০৭

Advertisement Advertisement

আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সাপের কামড়ে শিশু সুভ্রতা জুই (৯) ও সাহারা বানু (৩৯) নামে আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকালে সুভ্রতার ও দুপুরে সাহারা বানুর মৃত্যু হয়। তবে তাদের কী সাপে কামড় দিয়েছে সেটি জানা যায়নি।

নিহত সুভ্রতা জুই উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের চৌটাকী গ্রামে আকালু চন্দ্রের মেয়ে ও চৌটাকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর সাহারা বানু পাড়িয়া ইউনিয়নের নিটলডোবা গ্রামের জয়নালের স্ত্রী।

সাপের কামড়ে দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির। 

পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় সুভাত্রা জুইকে সাপে কামড় দেয়। ব্যথা অনুভব করায় সুভাত্রা তার মাকে জানায় কী যেন তাকে কামড় দিয়েছে। পরে তার মা দেখে একটি সাপ ঘর থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে। তবে কোন সাপ সেটি বলতে পারেননি। তাকে চিকিৎসার জন্য ওঝা ডেকে আনা হয়। পরে তার অবস্থা অবনতি হয়ে ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন শাহারা বানু । বৃষ্টির কারণে সাহারা বানুর কোনো চিকিৎসা করতে পারেনি তার পরিবার। রোববার সকালে সাহারা বানুকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দায়িত্বরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে যাওয়ার পথে সাহারা বানুর মৃত্যু হয়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. আহাদুজ্জামান সজিব জানান, সাপের কামড়ে আক্রান্ত নারী হাসপাতালে আসতে দেরি করায় সময়মত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। সে কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন বলেন, ‘সাপে কাটার পরে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে না নিয়ে ওঝার কাছে চিকিৎসা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। মূলত এ কারণে সাপে কাটার পরে মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সব সময় প্রচার করছে সাপে কাটা মাত্র নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার।’

মন্তব্য করুন


Link copied