আর্কাইভ  বুধবার ● ৮ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ৮ অক্টোবর ২০২৫
সঙ্গী ‘মাইক্রো-চিটিং’ করছে না তো?

সঙ্গী ‘মাইক্রো-চিটিং’ করছে না তো?

রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু আর নেই

রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু আর নেই

‘আইতোত হঠাৎ করে নদীর পানি এক্কেবারে বাড়ি গেইল, ‘কেমন করি খাওয়া দাওয়া করমো, সেই চিন্তা বাহে’

তিস্তাপাড়ে হাহাকার
‘আইতোত হঠাৎ করে নদীর পানি এক্কেবারে বাড়ি গেইল, ‘কেমন করি খাওয়া দাওয়া করমো, সেই চিন্তা বাহে’

নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও কামাল

আইসিটি আইন সংশোধন
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও কামাল

বিএনপির সভামঞ্চে সবাই যেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী!

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ০২:০০

Advertisement

অনলাইন ডেস্ক:  ছাত্র হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভোগদখল ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজধানীর তুরাগে প্রতিবাদ সভা করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির নেতা মোস্তফা জামান। সভার মঞ্চে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।

বিএনপির স্থানীয় নেতারা জানান, মোস্তফা জামান ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ খোকা, হাজী জহির ও আজাহারুল ইসলামসহ কয়েকজন পদধারী। অথচ মঞ্চে তারা বাদে প্রায় সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগের পদধারী।

 

আবার মঞ্চের সামনে দর্শকসারিতেও অংশ নেওয়া ৫০ শতাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত এমন ব্যক্তিদের দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারাও ভোল পাল্টে বিএনপি নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে অপকর্ম করতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় নেতারা।

বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, তুরাগের বাউনিয়া এলাকায় ছাত্র-জনতা হত্যায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাবিব হাসান তার অনুসারীদের লেলিয়ে দেন। এ এলাকায় বিএনপির তেমন অবস্থানও নেই। সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে সেখানে কাজ করছে বিএনপির কয়েকটি গ্রুপ। এক্ষেত্রে লোক দেখাতে তারা আন্দোলনে হামলাকারী চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতাদেরও তাদের সভা-সমাবেশে ডেকে আনছেন।

 বিএনপি যে সভা করেছে, তাতে মঞ্চে বসা ছিলেন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের তুরাগ থানার সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান, যুবলীগ নেতা সোহেল রানা, সানাউল্লাহ, সাবেক এমপি হাবিবের বোনের স্বামী ইসহাক, কৃষকলীগের তুরাগ থানার ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা সেলিম মাদবর, হাজী আব্দুল্লাহ ও আশরাফ খান। তারা সবাই সাবেক এমপি হাবিবের নিকটাত্মীয় বলে জানা গেছে।জানতে চাইলে সভার প্রধান অতিথি থাকা বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান  বলেন, তুরাগ বিএনপির কিছু নেতাকর্মী ওই সভার আয়োজন করেছিল। আমি প্রধান অতিথি ছিলাম। সেখানে মঞ্চে বা সামনে কে কোন দল করতেন, তা আমি খুব ভালো করে জানতাম। যদি আওয়ামী লীগের কেউ বা ফ্যাসিস্টদের দোসর কেউ সেখানে থেকে থাকেন, তাহলে সেটা মোটেও ঠিক হয়নি। আমি আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে দেখবো। সামনে এমন ভুল হবে না।

উত্তর বাংলা/ মু . মা 

মন্তব্য করুন


Link copied