আর্কাইভ  রবিবার ● ১২ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৭ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ১২ অক্টোবর ২০২৫
জিম্মিরা মুক্ত হওয়ামাত্রই গাজার সুড়ঙ্গগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরাইলের

জিম্মিরা মুক্ত হওয়ামাত্রই গাজার সুড়ঙ্গগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরাইলের

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

‘সেফ এক্সিট’, যা বলছেন উপদেষ্টারা

‘সেফ এক্সিট’, যা বলছেন উপদেষ্টারা

সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যা বললেন প্রিন্স মাহমুদ

সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যা বললেন প্রিন্স মাহমুদ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উৎসবমুখর আয়োজন

রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ০৪:১০

Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন: উত্তরের বাতিঘর খ্যাত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ তম বছর পেরিয়ে ১৮ তম বর্ষে পদার্পন করেছে। ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী নানা আয়োজন। 
 
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে উৎসবমুখর আয়োজনে বেলুন ও ফেষ্টুন উড়িয়ে উদ্বোধন হয় দিনব্যাপী কর্মসূচীর। উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা। বর্ণিল এ আনন্দ শোভাযাত্রা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছাড়াও পার্কের মোড়সহ নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
 
পরে আলোচনা মঞ্চে কেক কাটেন অতিথিবৃন্দ। আলোচনা পর্বে জুলাই আহত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তব্য রাখেন উদ্বোধক হিসেবে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. রেজাউল হক, প্রধান অতিথি তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।  প্রধান আলোচক ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: এনামউল্ল্যা, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: রাশেদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শওকাত আলী। এছাড়াও দিনব্যাপী আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বাদ আসর মিলাদ মাহফিল ও সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 
এদিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭তম বর্ষপূর্তিতে রঙিন সাজে সজ্জিত করা হয় পুরো ক্যাম্পাস। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। দিনব্যাপী নানা আয়োজন,
 
 আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ ও পুনর্মিলন উৎসবে মিলিত হয় এক প্রাণোচ্ছল আবহ। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য, প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের আহ্বায়ক, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়িয়ে তোলে আয়োজনের গভীরতা। এসময় তাঁরা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্নের নানা চ্যালেঞ্জ, সংগ্রাম ও সফলতার কথা।
 
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেবল একটি উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান নয়, এটি উত্তরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ও সংগ্রামের প্রতীক। প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানের সাথে স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ। 
 
স্মৃতি রোমন্থনের আবহে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ফিরে যান তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সোনালি দিনগুলোয়। কেউ বললেন ক্লাসরুমের গল্প, কেউ বললেন আন্দোলনের স্মৃতি, কেউ আবার খুঁজলেন পুরনো বন্ধুদের পরিচিত মুখ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই আয়োজন রূপ নেয় এক স্মৃতিময় মিলনমেলায়, যেখানে অতীত ও বর্তমান মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় প্রীতি ও গৌরবের বন্ধনে। স্মৃতি রোমন্থনে সবাই ফিরে যায় অতিত জীবনে। 
 
উল্লেখ্য: ২০০৮ সালের এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে। পরে নাম পরিবর্তন হয়ে হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে উত্তরের বাতিঘর খ্যাত এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে নানান সংগ্রাম ও গৌরবের ইতিহাস।

মন্তব্য করুন


Link copied