আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ● ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ভূমিকম্পের আতঙ্কে পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনি বন্ধ ঘোষণা

ভূমিকম্পের আতঙ্কে পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনি বন্ধ ঘোষণা

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে বৃহত্তর সুন্নি জোট: তাহেরি

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে বৃহত্তর সুন্নি জোট: তাহেরি

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং: আহত শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে ভর্তি, তদন্ত কমিটি গঠন

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং: আহত শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে ভর্তি, তদন্ত কমিটি গঠন

'চিকেনস নেক ঘিরে ভারতের উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক'

'চিকেনস নেক ঘিরে ভারতের উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক'

ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় শেষ স্বপ্ন, চিকিৎসক দম্পতি ও তিন শিশুর হাস্যোজ্জ্বল সেলফি এখন স্মৃতি

শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, রাত ০২:২৩

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  উন্নত জীবনের আশায় ছেড়েছিলেন দেশ। কিন্তু সেই আশা নিরাশায় পরিণত হলো। একটি বিমান দুর্ঘটনায় পুরো পরিবারই শেষ। ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়ে চিকিৎসক দম্পত্তি ও তাদের তিন সন্তানের প্রাণ। 

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমান বিধ্বস্তে যে ধ্বংসস্তূপ পড়ে রয়েছে, তারই কোথাও মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে রাজস্থানের এক পরিবারের মোবাইল ফোন। সেই ফোন হয়তো আর কখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। হয়তো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিন্তু ওই ফোনে তোলা একটি সেলফি চিরদিন থেকে যাবে ২৪২ জন যাত্রীসহ বিমানে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার এক নিঃশব্দ স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে।

ছবিটি ছিল নতুন এক জীবনের পথে যাত্রা শুরুর প্রতীক। উদয়পুরের একটি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক কোমি ভ্যাশ চাকরি ছেড়ে স্বামী ডা. প্রতীক জোশির সঙ্গে লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তাদের তিন সন্তান। ছবিতে তাদের মুখে যে আনন্দ-উল্লাস দেখা যায়, তা বলে দেয় কতটা উচ্ছ্বসিত ছিল এই পরিবার।

সেলফিতে দেখা যায়—ডা. জোশি নিজে ছবি তুলেছেন, পাশে বসে আছেন তার স্ত্রী কোমি। দুজনেই হাসিমুখে। সামনের সারিতে বসে আছে তাদের যমজ দুই ছেলে এবং বড় মেয়ে। ছেলেরা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করছে, আর মেয়েটি হাসছে প্রাণখুলে।

এই দম্পতির ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, প্রতীক কিছুদিন আগে লন্ডনে চলে যান এবং সম্প্রতি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজস্থানের বানসওয়ারা ফিরে আসেন। যমজ দুই ছেলের নাম নকুল ও প্রদ্যুৎ। তাদের বয়স পাঁচ বছর। মেয়ের নাম মিরায়া (৮)।

প্যাসিফিক হাসপাতালের এক মুখপাত্র বলেন, লন্ডনে স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি চাকরি ছেড়েছিলেন কোমি। প্রতিবেশীরা বলেছেন, প্রতীকের বাবা শহরের একজন খ্যাতনামা রেডিওলজিস্ট। আর কোমির বাবা ছিলেন রাজ্য সরকারের গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা।

প্রতীকের চাচাতো ভাই নয়ন, প্রতীক ও কোমি আহমেদাবাদে গিয়েছিল লন্ডনের ফ্লাইট ধরতে। প্রতীক মাত্র দুই দিন আগে এসে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যাচ্ছিল। পরিবারের আরও অনেকেই তাদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, ‘আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল বিমাবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে আকাশে উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই প্রচণ্ড আওয়াজ হয়। এর পরপরই বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। সব কিছু খুব কম সময়ের মধ্যেই ঘটে।’

মন্তব্য করুন


Link copied