আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৯ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৪ অক্টোবর ২০২৫
কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

জাতিসংঘের সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি স্থগিত

জাতিসংঘের সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি স্থগিত

সোনার পর নতুন রেকর্ড গড়ল রুপার বাজার

সোনার পর নতুন রেকর্ড গড়ল রুপার বাজার

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বেরোবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, হাসপাতালে ভর্তি ১

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বেরোবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, হাসপাতালে ভর্তি ১

ভুরুঙ্গামারীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ ঘোষণা

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, রাত ০৯:১৩

Advertisement

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, চাকরির জাতীয়করণসহ ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেন তারা।
 
সোমবার (তারিখ) দুপুরে উপজেলার কলেজ মোড়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
 
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও সরকার এখনো তাদের যৌক্তিক দাবিগুলোর বাস্তবায়ন করেনি।
 
বক্তারা আরও বলেন, “গত রোববার ঢাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু সেখানে পুলিশ অযৌক্তিকভাবে হামলা চালায়, কয়েকজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার ও আহত করা হয়—যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
 
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “একজন ডাব বিক্রেতা প্রতিদিন ১,৫০০ টাকা আয় করে মাসে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা আয় করেন; অথচ একজন শিক্ষক মাসের পর মাস ৩৫ হাজার টাকায় পরিবার চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। এটি চরম বৈষম্য।”
 
বক্তারা আরও বলেন, “সব পুলিশ এক নয়, কিন্তু তারা কি শিক্ষকদের কাছেই পড়াশোনা করেননি? তাদের সন্তানরাও কি শিক্ষকদের কাছেই শিক্ষা নিচ্ছে না? তারপরও তারা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছে—এটি জাতির লজ্জা।”
 
শিক্ষকরা জানান, শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তারা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থেকে হাজিরা সই করে কর্মবিরতি পালন করছেন এবং একই সঙ্গে প্রাইভেট পড়ানোও বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
 
প্রতিবাদ সভায় সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম মুকুল এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের সভাপতি বাবুল আক্তার, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন, ভূরুঙ্গামারী ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন, বাউসমারী ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ, প্রধান শিক্ষক কাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
 
বক্তারা বলেন, সরকারের উচিত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আরও গতিশীল করা, নইলে আন্দোলন আরও তীব্রতর করা হবে।

মন্তব্য করুন


Link copied