আর্কাইভ  রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫ ● ২০ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

দিনাজপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

দিনাজপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

লালমনিরহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

লালমনিরহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হঠাৎ ঝড়ে ৮০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হঠাৎ ঝড়ে ৮০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন সাবেক এমপি অভি

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, রাত ০৯:১৩

Advertisement

ঢাকা: মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) গোলাম ফারুক অভি।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. শাহীনুর আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দেন। আর আসামি শুরু থেকেই পলাতক।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুর রহমান আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত খালাস দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সৈয়দ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার পর বিশ্লেষণ করে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মডেল তিন্নির মরদেহ পাওয়া যায়।  

পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন।

এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর নিহত তিন্নির মরদেহের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় তা শনাক্ত করেন।  

পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

এরপর মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

তিন্নি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এছাড়া এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।

তদন্তে প্রাথমিকভাবে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভি অভিযুক্ত হলেও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই পলাতক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ।

২০২৪ সালের ২২ আগস্ট মামলাটি দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসে। তারপর ২৫ আগস্ট যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ার এ বছর ১৪ জানুয়ারি ধার্য করা হয়।  

মন্তব্য করুন


Link copied