আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব

রংপুরে এখনো মামলা করতে পারেনি ১১ শহীদ পরিবার

রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫, দুপুর ০২:৪৫

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুর বিভাগে গেজেটভুক্ত ৬৮ শহীদের মধ্যে এখনো মামলা করতে পারেনি ১১ শহীদ পরিবার। পুলিশের অসহযোগিতা এবং আওয়ামী নেতাকর্মীদের ভয়ে মামলা করতে পারেনি বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। সম্প্রতি পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিলে গত দুদিনে নতুন মামলা হয়েছে ১১টি, যা নিয়ে বিভাগটিতে সর্বমোট মামলা হয়েছে ৫৭টি।

জানা যায়, যেসব শহীদ পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ও যোগাযোগ ভালো ছিল, তারা আন্দোলনের সময় মামলা করেছিল। কিন্তু অনেক পরিবার মামলা করেনি ভয়ভীতির কারণে। শেখ হাসিনা পালানোর পরও আসামিদের জামিন এবং আবু সাঈদের মামলাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় মামলা করতে অনাগ্রহ ছিল শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে। তবে সম্প্রতি মামলা করছেন ভুক্তভোগীরা।

সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে রংপুর বিভাগে আবু সাঈদসহ ৬৮ জন শহীদ হন । এর মধ্যে রংপুর রেঞ্জে ৬১ ও মেট্রোতে সাতজন। আহত হন এক হাজার ৪৮০ জন। এ সব হতাহতের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হন তিন হাজার ৬৭৪ জন। যাদের অনেকেই জামিন নিয়ে বের হয়ে এসেছেন।

শহীদ পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গুলিতে নিহত হওয়ার পরও অনেককে গোপনে কবরস্থ করা হয়েছে। ওই সময় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। পুলিশের পাশাপাশি তৎকালীন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা শহীদ পরিবারের সদস্যদের মামলা না করতে ভয়ভীতি দেখাত। তবে এখন পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করায় নতুন করে আহত ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে ।

রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম বলেন, শহীদ পরিবার ছাড়াও যারা আন্দোলনে আহত হয়েছেন, তাদেরও মামলা করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। থানায় মামলা করলে পুলিশের পক্ষ থেকে বাদীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

তবে এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের অতিরিক্ত দুই ডিআইজি আমার দেশকে জানান, রংপুর রেঞ্জ ও মেট্রোপলিটন থানাগুলোতে শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে যে মামলাগুলো হয়েছে, তাতে অনেক পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সরকারি আমলাদের নাম রয়েছেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আবু সাঈদের মামলা ছাড়া অন্য কারো মামলায় পুলিশের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সরকারি কোনো আমলাকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি।

রংপুর মেট্রোর পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মজিদ আলী  বলেন, রংপুর মহানগরীতে ৭ শহীদ পরিবারের মধ্য থেকে ৬ পরিবার মামলা করেছে।

এ বিষয়ে রংপুর জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বায়েজিদ ওসমানী জানান, জুলাই মামলাগুলোর আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের নামে অন্যান্য যে মামলা রয়েছে, সেগুলোর আসামিরা নিম্ন আদালত থেকে জামিন পাচ্ছেন। জামিনে বাইরে এসে তারা বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ায় অনেকে মামলা করার সাহস পাচ্ছেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্তব্য করুন


Link copied