নিজস্ব প্রতিবেদক : রংপুর নগরীর বুড়িহাট বাজারে একটি তুলার কারখানাসহ চারটি ওষুধের দোকানে আগুন লেগেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারদিকে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানায়, তুলার কারখানার পাশে একটি চার তলা ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। ক্রেনের মাধ্যমে নীচ থেকে নির্মাণসামগ্রী ছাদে তোলে। সেই সময় পাশে থাকা বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লেগে যায় ক্রেনটি। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
নগরীর বুড়িরহাট বাজারে হোমিও চিকিৎসক আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা দেখছি, একটি বালুর ট্রাক থেকে ক্রেন দিয়ে ছাঁদের ওপরে বালু তোলা হচ্ছে। এমন সময় ক্রেনটি পাশে থাকা বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লেগে আগুন লেগে যায়। এরপর আগুন জ্বলে উঠেছে। আর সঙ্গে সঙ্গে পাশে তুলার কারখানাটি থেকে বিকট শব্দ হয়ে ধোয়া উঠতে শুরু হয়। সেখান থেকে আগুন জ্বলতে থাকে। পরে ফায়ার সাভিসের গাড়ি এসে আগুন নেভানোর কাজ করেন।’
কারখানা মালিকের ছেলে মাসুদ বলেন, ‘সব কিছু পুড়ে গেছে। আমরা এসে দেখি, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাচ্ছেন। এখন শুধু ছাই ছাড়া আর কিছুই দেখছি না। আমাদের অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে।’
গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। আগুনের ধরন দেখে পাশে রংপুর সদরের ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চাই। তারাও দ্রুত সেখানে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এরপর প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টা আমরা আগুন নিভাতে সক্ষম হই। তবে আগুন কীভাবে লাগলো এবং কত টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।’
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই, যেন অগ্নিকাণ্ড এলাকা থেকে কোনো কিছু কেউ নিয়ে যেতে না পারে।’
ফায়ার সার্ভিসের রংপুর উপসহকারী পরিচালক বাদশা মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে পাঁচটি ইউনিট চলে আসে। পরে দীঘ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। তবে তুলার বস্তা ও টিনের ঘর ছাড়া অন্য কিছু আগুনে পোড়া যায়নি। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’