স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মহানগর পুলিশ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর ধাপ বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শাহিদ মাহমুদ নীলফামারী সদর উপজেলার খয়রাত হোসেন সড়ক থানাপাড়া এলাকার মৃত আনিস উদ্দিন আহমেদের ছেলে। তিনি নীলফামারী সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাসহ নাশকতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে নীলফামারী থানায় মামলা রয়েছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে নীলফামারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকা এই আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টা, হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা আবু সালেহ নাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রংপুর মহানগর পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আবু সালেহ নাহিদকে নগরীর খামার মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার নাহিদ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পান্থাপাড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১২ ব্যাচের ছাত্র তিনি। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদের করা মামলার ৩৫ নম্বর আসামি তিনি।
ওসি আরও জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকেই পলাতক ছিলেন নাহিদ। কয়েকদিন আগে রংপুরে আসেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হামলা ও পরিকল্পনার অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার (৮ আগস্ট) তাকে আদালতে তোলা হবে।