আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৭ অক্টোবর ২০২৫ ● ২২ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৭ অক্টোবর ২০২৫
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২০ ডিসেম্বর

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২০ ডিসেম্বর

বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা

বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা

এআই-ভিত্তিক অপব্যবহার প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত ইসি?

এআই-ভিত্তিক অপব্যবহার প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত ইসি?

অপরাধের ‘স্বর্গরাজ্য’ মোহাম্মদপুর, ‘আস্তানা’ জেনেভা ক্যাম্প

অপরাধের ‘স্বর্গরাজ্য’ মোহাম্মদপুর, ‘আস্তানা’ জেনেভা ক্যাম্প

রংপুরে ০৬ দফা দাবী বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, বিকাল ০৭:৪৮

Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর।।  স্বাস্থ্যসেবায় রোগ নির্ণয়সহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসী শিক্ষাব্যবস্থা ও পেশার নানাবিধ বৈষম্য দূরীকরণে ০৬ দফা দাবী বাস্তবায়ন ও দেশের আপমর জনসাধারণের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ । 
 
(১১ নভেম্বর) সোমবার সকাল ১০টায় রংপুর বিভাগীয় ( স্বাস্থ্য) এর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন,  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত বিএসসি ইন মেডিকেল/হেলথ টেকনোলজি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক পরিচালিত মেডিকেল টেকনোলজি বিভিন্ন অনুষদ ও বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসী শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত আংবানে- ৬ দফা এ পেশার মুক্তির আলোকবর্তিকা যা রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রীক আকাঙ্খা পূরণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বলে বিশ্বাস করি। 'জুলাই বিপ্লব' নামে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থান, সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার যে আশা সঞ্চার করেছে তাতে জনগণ তাদের অন্য সব অধিকারের পাশাপাশি উন্নত ও সর্বজনীন চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তিরও স্বপ্ন দেখছেন। স্বাস্থ্যসেবাকে গণমুখী করতে চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের পেশাগত সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য। স্বাস্থ্যসেবা একটি 'টিম ওয়ার্ক' যেখানে চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 
রোগীদের সেবাদান কার্যক্রমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিই রোগ নির্ণয়, যার দায়িত্ব পালন করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণই অথচ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পরও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিমাতৃসুলভ মনোভাব ও সদিচ্ছার অভাবে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এ পেশা এবং রাষ্ট্র তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। বৃহৎ এক পেশাজীবী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট জনগোষ্ঠির পরিচালনা, বদলি, পদোন্নতি, পেশাগত কল্যাণ ও অন্যান্য দেখভালের জন্য কোন স্বতন্ত্র পরিদপ্তর নেই।  যা নিতান্ত দুঃখজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাইডলাইন অনুযায়ী ১ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকার আবশ্যকতা থাকলেও সরকারি চাকরিতে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা মাত্র ৫ হাজারেরও কম অথচ তা হওয়ার কথা ছিল ৮০ হাজারেরও বেশি। এমনকি ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষার উচ্চশিক্ষা হিসেবে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত বিএসসি ইন মেডিকেল/হেলথ টেকনোলজি সনদধারী গ্র্যাজুয়েটদের জন্য অদ্যবধি কোন প্রকার পদসৃজন ও পদায়ন করা হয়নি।

মন্তব্য করুন


Link copied