আর্কাইভ  বুধবার ● ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ৩ পৌষ ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে ফুল দেওয়ার প্রস্তুতি

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে ফুল দেওয়ার প্রস্তুতি

জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুর, মিটিং পণ্ড

জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুর, মিটিং পণ্ড

যেসব বিষয়ে আটকে আছে আসিফ-মাহফুজের রাজনৈতিক দলে যোগদান

যেসব বিষয়ে আটকে আছে আসিফ-মাহফুজের রাজনৈতিক দলে যোগদান

হাদিকে গুলি করা অস্ত্রের ম্যাগাজিন উদ্ধার

হাদিকে গুলি করা অস্ত্রের ম্যাগাজিন উদ্ধার

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে ফুল দেওয়ার প্রস্তুতি

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকাল ০৭:১২

Advertisement

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) বিজয় দিবসের আলোকসজ্জায় অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। 
 
১৬ ডিসেম্বর রাত ১২ টায় পর উপাচার্য স্বাধীনতা স্মারকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। স্বাধীনতা স্মারকে এ বছর কোনো আলোকসজ্জা না করায় মধ্য রাতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে প্রশাসন। উপাচার্য আসার আগে গাড়ির হেড লাইট জ্বালিয়ে আলোকিত করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে গাড়ি সরিয়ে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্য ফুল দেন অন্ধকারে। 
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় আলোকসজ্জার জন্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বাজেট দাবি করেন আলোকসজ্জা কমিটি। প্রতি বছরই বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের হল, প্রশাসনিক ভবন, স্বাধীনতা স্মারক সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আলোকসজ্জা করা হলেও এ বছর তার ব্যতিক্রম ঘটেছে।
 
একাধিক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিজয় দিবসের মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিনে স্বাধীনতা স্মারকের মতো স্থানে এমন অব্যবস্থাপনা মেনে নেওয়া যায় না।
 
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণিত বিভাগের রোবায়েদ জাহিন বলেন, পুরো ক্যাম্পাস আলোকসজ্জা করছে। আর কোথায় থেকে বিজয় দিবস শুরু সেটা কি তারা জানে না। এইটা তাদের অনীহা। 
 
এ দিকে স্বাধীনতা স্মারকে আলোকসজ্জা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বেরোবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিফাত রাফি এ নিয়ে তার ফেইসবুকে এক স্ট্যাটাসে বলেন, আয়োজক কমিটি প্রথম প্রহরেই ব্যর্থ!!! বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় দিবসের একটা প্রোগ্রাম! অথচ গাড়ির হেডলাইট দিয়ে লাইটিং করা লাগছে!!!এই লাইট দিয়ে প্রশাসনকে আলোকিত করা হোক।
 
আরেকজন শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, ৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধীরা আবার বিজয় দিবস পালন করবে নাকি? এনারা আছে এনিয়ে বিনিয়ে বিজয় দিবস কীভাবে পার করা যায়?
 
স্বাধীনতা স্মারকে আলোকসজ্জার না করার বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে কমিটি আহ্বায়ক ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান মজনু বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। বড় কাজ করতে গেলে ছোটোখাটো ভুল ত্রুটি হয়৷ ভিসি স্যার তো ফুল দিছে ১২ টার পর। এর আগে আমাকে তো কেউ বলেনি বললে তো আমি লাইট দিতাম। 
 
যোগাযোগ করা হলে ছাত্রদল বেরোবি শাখার সভাপতি ইয়ামিন বলেন, এইটা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসনে কিছু আল বদর, স্বাধীনতা বিরোধী মানুষ আছে তারা কমিটিতেও আছে আমরা শুনেছি। তারা স্বাধীনতা স্বীকার করে না। এইজন্য হয়তো অন্ধকার রাখছে। আমরা যদি এমন প্রমাণ ব্যবস্থা নিব। স্বাধীনতা বিরোধীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। 
 
নাম প্রকাশ না করা শর্তে গতবারের আয়োজক কমিটিতে থাকা এক শিক্ষক বলেন, এত বড় আয়োজন আর যেখানে ফুল দিবে সেখানে লাইট নাই। দুঃখজনক। পুরো আয়োজন টাই ছিল অব্যবস্থাপনা। সব যেন দায় সারা।

মন্তব্য করুন


Link copied