নিউজ ডেস্ক: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের নেই আমেজ। বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঘরমুখো হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ব্রাকসু নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশংকা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, এমআইএস, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, অর্থনীতি, জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজসহ অধিকাংশ বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পরীক্ষার চাপ কমে আসায় এবং সামনে কয়েকটি সরকারি ছুটি থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রশিদুল ইসলাম বলেন, ২য় সেমিস্টারের পরীক্ষা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এরপর দ্রুত ৩য় সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হলে ক্যাম্পাসে থাকব, না হলে বাড়ি চলে যাব।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের বিভাগে পরীক্ষা ২৫ তারিখে শেষ হয়। কিন্তু ব্রাকসু নির্বাচনের কারণে প্রশাসন ছুটির বিষয়টি পরিষ্কার করছে না। এতে দূরের শিক্ষার্থীরা বাসায় যেতে পারছে না। ক্লাস শুরুর মাধ্যমে আমাদের আটকে রাখা হচ্ছে, যা অনেকের জন্য সমস্যা তৈরি করেছে।
শিক্ষার্থীদের এই ঘরমুখো অবস্থা ব্রাকসু নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রভাবিত করবে বলে ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য প্রার্থী রহমত আলী বলেন, আমি বিতর্কমুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক ব্রাকসু চাই, যেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ থাকবে।
সম্ভাব্য ভিপি প্রার্থী আহমেদুল হক আলবি বলেন, এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা বাসায় গেলেও অনেকে আবার ফিরছে। কেউ কেউ জীবনের প্রথম ভোট দিয়েই বাড়ি যাবে।
এদিকে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের ওপর অনাস্থা জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের আরেকাংশ। সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, শীতকালীন ছুটি উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে, যাতে একটি পক্ষ লাভবান হয়। ইতোমধ্যে ৩০–৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছেন, আগামী সপ্তাহে প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছাড়বেন বলেও দাবি করেন তারা।
সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান তারা। এদিকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বেরোবি শিক্ষার্থী পরিষদ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। নির্বাচন নিয়ে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মো. শাহজামান বলেন, প্রথমে আমরা ২৯ ডিসেম্বর তারিখ দিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীদের দাবির পর আবার ২৪ তারিখে আনা হয়েছে। দেখা যাক, ভোটার উপস্থিতি কেমন হয়।