আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫ ● ৪ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫

লন্ডনে স্বপ্নের কোর্সে পড়া হলো না পায়েলের

শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, রাত ০২:২২

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  লন্ডনে পা রেখেই নতুন এক জীবনের গল্প শুরু করার কথা ছিল তার। পরিবার, সমাজের মুখ উজ্জ্বল করার স্বপ্নে চোখ ভরা ছিল পায়েল খাতিকের। এক বুক আশা, এক চিলতে উত্তেজনা আর অগাধ সাহস নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু মাত্র ৫৯ সেকেন্ডের মধ্যেই সব শেষ। খবর এনডিটিভি

উড়ান ছিল আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের, সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট। তবে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই পায়েলের আকাশে ভেসে থাকা স্বপ্নখানি ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে আক্ষরিক অর্থেই। বিমানটি ভেঙে পড়ে মেঘানিনগরের এক বি. জে. মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে, সঙ্গে সঙ্গে আগুন জ্বলে ওঠে। শহরের আকাশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়, আর বিমানের যাত্রীদের ভাগ্য অনিশ্চয়তার অন্ধকারে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে এয়ার ইন্ডিয়ার ‘এআই১৭১’ ফ্লাইট। উড্ডয়নের মাত্র ৫৯ সেকেন্ড পর, ৬২৫ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে এসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিমানে ছিলেন মোট ২৪২ জন। এখনও পর্যন্ত শুধু একজনের জীবিত থাকার খবর মিলেছে। পায়েল ছিলেন সেই বিমানের একজন যাত্রী।

পায়েলের প্রতিবেশীরা জানান, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় দারুণ ছিলেন তিনি। পরিবারের একমাত্র মেয়ে, উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে যাচ্ছিলেন। ছিলেন ভীষণ উদ্যমী, স্বপ্ন দেখতেন পরিবার ও দেশের জন্য কিছু করে দেখানোর।

দুর্ঘটনার ভয়াবহতা বোঝাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘বিমানে ১.২৫ লাখ লিটার জ্বালানি ছিল। আগুন লাগার পর তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’ তিনি আরও জানান, ‘ডিএনএ পরীক্ষা ও শনাক্তকরণের পরই নিহতদের সরকারিভাবে ঘোষণা দেয়া হবে।’

পায়েলের মতো আরও শতাধিক স্বপ্ন ওই আগুনেই ছাই হয়ে গেল। বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ স্বজনেরা এখন কেবল অপেক্ষা করছেন এক চিলতে তথ্যের আশায় প্রিয়জন ফিরবেন তো? নাকি শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবেন?

মন্তব্য করুন


Link copied