আর্কাইভ  রবিবার ● ১২ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৭ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ১২ অক্টোবর ২০২৫
জিম্মিরা মুক্ত হওয়ামাত্রই গাজার সুড়ঙ্গগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরাইলের

জিম্মিরা মুক্ত হওয়ামাত্রই গাজার সুড়ঙ্গগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরাইলের

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

‘সেফ এক্সিট’, যা বলছেন উপদেষ্টারা

‘সেফ এক্সিট’, যা বলছেন উপদেষ্টারা

সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যা বললেন প্রিন্স মাহমুদ

সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যা বললেন প্রিন্স মাহমুদ

লালমনিরহাটের সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে ভয়ংকর দুর্নীতি

রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ০৪:১৪

Advertisement

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ‎লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল আলম, প্রতিষ্ঠাতা প্রতিনিধি রেজাউদ্দৌলা রাঙ্গা এবং সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি, জমি দখল ও নজিরবিহীন অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

‎রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী, এলাকাবাসী ও সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা কলেজের সামনে প্রতিবাদ জানায় এবং বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। পরে তারা অধ্যক্ষের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

‎স্মারকলিপিতে বলা হয়, সহকারী অধ্যাপক রফিকুল আলম তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে কলেজ থেকে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত ছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ে একদিনও কলেজে না গিয়েও তিনি অবৈধভাবে সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন।
‎​
‎সহকারী অধ্যাপক রফিকুল আলম নিজে আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দলের প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিজে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিনিধি রেজাউদ্দৌলা রাঙ্গা এবং সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন সরকারের যোগসাজশে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নাম করে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে তিনটি শিক্ষক পদে এবং পাঁচটি কর্মচারী পদে নিয়োগে অনিয়ম করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। এছাড়াও, এই চক্রটি কলেজ তহবিল থেকে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

‎কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিনিধি রেজাউদ্দৌলা রাঙ্গা কলেজের প্রায় ২৯ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে তার উৎপাদিত ফসল ভোগ করছেন। এই জমির বাবদ প্রাপ্য কোনো অর্থই তিনি কলেজে জমা দেননি বা এখনো দেননা।

‎প্রতিবাদককারীরা জানান, রফিকুল আলম দুই বছর ধরে অনুপস্থিত থেকেও প্রভাব খাটিয়ে সহকারী অধ্যাপক পদে বহাল আছেন এবং তার বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি শিক্ষক-কর্মচারীসহ নিরীহ এলাকাবাসীকে মিথ্যা মামলা ও গুন্ডাবাহিনী দিয়ে চরম হুমকি ও ভয় দেখান।

‎​অবিলম্বে রফিকুল আলমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত, রেজাউদ্দৌলা রাঙ্গার দখল থেকে জমি উদ্ধার, আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত এবং সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কলেজে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মন্তব্য করুন


Link copied