আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

সোনালী ব্যাংকের সাবেক সাত কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫, বিকাল ০৫:১০

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সহ ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডিতরা হলেন- ব্যাংকটির সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, খান জাহান আলী সোয়েটার্স লি. এর চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ. জলিল শেখ, পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং মীর মোহাম্মদ শওকত আলী।

দণ্ডিতদের মধ্যে প্রথম ৭ জনকে (সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা) বিশ্বাস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের দায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক। 

অপর চারজনকে বিশ্বাস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের দায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। এই অর্থ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

এছাড়া প্রতারণার দায়ে তাদের সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মঈনুল হক, মীর মহিদুর, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল হোসেন খান। বাকি সাতজন পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঁইয়া ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলাটি করেন।

২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ৬১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

মন্তব্য করুন


Link copied