আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৭ অক্টোবর ২০২৫ ● ২২ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৭ অক্টোবর ২০২৫
এআই-ভিত্তিক অপব্যবহার প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত ইসি?

এআই-ভিত্তিক অপব্যবহার প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত ইসি?

অপরাধের ‘স্বর্গরাজ্য’ মোহাম্মদপুর, ‘আস্তানা’ জেনেভা ক্যাম্প

অপরাধের ‘স্বর্গরাজ্য’ মোহাম্মদপুর, ‘আস্তানা’ জেনেভা ক্যাম্প

যেভাবে হত্যা করা হয় আবরার ফাহাদকে

আবরার হত্যার ছয় বছর
যেভাবে হত্যা করা হয় আবরার ফাহাদকে

‘আমাদের কি মরিয়া প্রমাণ করতে হবে আমরা অসুস্থ’

আদালতে দীপু মনি
‘আমাদের কি মরিয়া প্রমাণ করতে হবে আমরা অসুস্থ’

৯ তরুণকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে খুন, কারাগারে সাবেক ৩ পুলিশ কর্তা

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, দুপুর ০৪:৪৭

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে ঢাকার কল্যাণপুরে ‘জাহাজবাড়ি’ নামক একটি বাড়িতে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে ইসলামিক ভাবধারার ৯ তরুণকে হত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা (মিসকেস) করা হয়েছে।

মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও ডিএমপি মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রসিকিউশনের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ মার্চ) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

গত ৬ মার্চ পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ পুলিশের সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের এই তিন কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে পুলিশের এই কর্মকর্তারা জঙ্গি নাটক করেছিলেন বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এই মামলায় অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও পরবর্তী শুনানির জন্যে আগামী ৭ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত।

শুনানি ও আদেশের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজবাড়ি নামের একটি বাড়িতে ৯ তরুণকে আটকে রেখে সোয়াতসহ সিটিটিসি গিয়ে তাদের বাসার মধ্যে গুলি করে হত্যা করে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা জানতে পেরেছে, এই ৯ তরুণকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে বহু আগে। কেউ কেউ ডিবি হেফাজতে ছিলেন দুই-তিন মাস ধরে। সেখান থেকে তাদের ধরে নিয়ে রাতে ওই বাসায় জড়ো করা হয়। পরে রাতের বেলা ব্লক রেইডের কথা বলে সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবাই হাজির হন। সেই লোকদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গি হত্যা করা হয়েছে বলে তারা প্রচার করেন। সে সময় জঙ্গি নাটক নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য ইসলামিক ভাবধারার মানুষদের জঙ্গি নাম দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied