ক্রীড়া ডেস্ক : বরিশালকে হারাতে শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৬ রান। শেষ ওভারটি করতে বল হাতে তুলে নেন কাইল মায়ার্স। ক্রিজে তখন সোহান ও কামরুল ইসলাম। কিন্তু কামরুলকে আর স্ট্রাইকে আসতেই হয়নি। মায়ার্সের ওভারে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ফুটিয়ে একাই ৩০ রান তুলে নেন সোহান। এটি আসরে তাদের টানা ষষ্ঠ জয়। এখন পর্যন্ত চলতি বিপিএলে অপরাজিত রাইডার্সরা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে রংপুর।
রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচ চলাকালীন ও ম্যাচ শেষে সামাজিক মাধ্যমেও জমে ওঠে খেলা। শেষ ৩ বলে ১২ রানের সমীকরণ যখন রংপুরের, বরিশাল তখন নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দেয়,‘মনুরা রেডি তো।’ ফটোকার্ডে লেখা ছিল ‘জাগো বাহে জাগো’ এবং সেখানে বরিশালের জয়ের উদযাপনের ছবি পোস্ট করে। এরপর সোহান শেষ তিন বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে পাশার দান উল্টে দেন। এমন ম্যাচ যে হারতে হবে ঘুণাক্ষরেও হয়তো ভাবেনি বরিশাল। ততক্ষণে তাদের পোস্টে পাল্টা খোঁচা দিয়ে ফেলেছে রংপুর- ‘পোস্ট ডিলিট করো, সমস্যা হবে।’ ফটোকার্ডে বরিশালের দেওয়া পোস্টের স্ক্রিনশট বসিয়ে দেয় রংপুর।
এবারের বিপিএলে দু্ইবারের দেখায় দুইবারই ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। মিরপুরে গত ২ জানুয়ারি বরিশালকে হারিয়ে ফেসবুক পেজে ফটোকার্ড বানিয়ে রসিকতা করেছিল রংপুর রাইডার্স। পত্রিকার আদলে একটা ফটোকার্ড দিয়ে শিরোনাম দিয়েছে ‘রংপুর বার্তা’। সেখানে শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘বরিশালের লঞ্চে ধাক্কা, আতঙ্কে যাত্রীরা’! সেই পোস্টে বরিশাল উত্তর দিয়েছে, ‘একটু ধাক্কা না হয় খেয়েছি, কিন্তু গন্তব্যের কাছে দেখা হবে, মনু’!
সিলেটে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহই গড়েছিল ফরচুন বরিশাল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১৯৭ রান। ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলেছেন কাইল মায়ার্স। এই ক্যারিবিয়ান পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ১ চার ৭ ছক্কায় ২৯ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেছেন তিনি। তাছাড়া ফাহিম আশরাফ করেছেন ৬ বলে ২০ রান।
এদিকে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রংপুরও কম যায়নি। তবে দলীয় ১৫৭ রানে ইফতিখার আহমেদ আউট হওয়ার পর দ্রুত আরও ৩ উইকেট হারিয়ে হারতে বসেছিল নূরুল হাসান সোহানের দল। কিন্তু শেষ ওভারে সোহানের বীরত্বে শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে রংপুর। ২৪ বলে ৪৮ রান করেন খুশদিল শাহ। ৩৬ বলে ৪৮ রান করেন ইফতেখার।