আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশে আসেন ৫৮ জেলার ২৩ হাজার শিক্ষার্থী

বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫, সকাল ০৪:১৫

Advertisement Advertisement

নিউজ  ডেস্ক : জাতীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার বিকেলে। এ কর্মসূচিতে অংশ নেন দেশের ৫৮ জেলার ২২ হাজার ৯২৬ জন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। তবে রাজধানী ঢাকাসহ ছয়টি জেলার তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে সমাবেশে অংশ নিতে বাগেরহাটের মোল্লাহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আসার সময় তাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২০ জন আহত হন। তবে দেশের আর কোনো এমন হামলা বা সহিংসতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

জরিপে দেখা গেছে, ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে রংপুর বিভাগ থেকে ১ হাজার ১৬১ জন, রাজশাহী বিভাগ থেকে ২ হাজার ৮১৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ১৩১০ জন, সিলেট বিভাগ থেকে ১ হাজার ৩৭৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগ ৭ হাজার ১০৫ জন, ঢাকা বিভাগ থেকে ৪ হাজার ৬৯৭ জন, খুলনা বিভাগ থেকে ৩ হাজার ৭০ জন এবং বরিশাল বিভাগ থেকে ১ হাজার ৩৯০ জন অংশ নেন।

খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২৫ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে চট্টগ্রামের ছাত্র সমন্বয়কদের ওপর হামলার শঙ্কা থাকলেও তারা নিরাপদে ঢাকা পৌঁছান।

‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নোয়াখালী থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসেন ৩ হাজার ৯০০ জন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সমন্বয়ক ইয়াছিন আরাফাত, মেহেদী হাসান সীমান্ত, নাহিদা সুলতানা ইতু, জাস্টিস ফর জুলাইয়ে আহ্বায়ক তাওহীদুল ইসলাম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি তুহিন ইমরান।

জানা গেছে, কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়াই ৬০টি বাস ও ১০ মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকায় আসেন ছাত্র সমন্বয়ক ও অন্যান্যরা।

রাজশাহী জেলার সমন্বয়ক রাজন ও সালাউদ্দিন আম্মার নেতৃত্বে কর্মসূচিতে অংশ নেন এক হাজার নেতাকর্মী। কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়া ১৬ টি বাসে তারা ঢাকায় এসে পৌঁছান।

কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিতে মানিকগঞ্জ থেকে ১ হাজার নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসেন। তারাও নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়া সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। তাদের নেতৃত্ব দেন সমন্বয়ক রমজান মাহমুদ, মেহেরাব এবং ওমর।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সামিউল আলম নাবিলের নেতৃত্বে গাজীপুর জেলা থেকে কর্মসূচিতে অংশ নেন এক হাজার নেতাকর্মী। এর মধ্যে ৩৫০ জন নারী ও ৬৫০ জন পুরুষ ছিলেন। তারা সবাই বাস ও ট্রেনে ঢাকায় আসেন। ছিল না কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি।

তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়েই বাগেরহাট থেকে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশ নেন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সমন্বয়ক এসএম সাদ্দাম হোসেন। 

বরিশাল জেলা থেকে কর্মসূচিতে অংশ নেন ৫০০ জন। সরকারি বিএম কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি সাব্বিরের নেতৃত্বে লঞ্চ ও বাসযোগে ঢাকা আসেন শিক্ষার্থীরা।

‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশে অংশ নিতে বগুড়ার ৮০০ জন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসেন। ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাকিব খান, মাহমুদুল, রাব্বি হাসান, আজিম ইমরান, এম জেড শাহরিয়ারের নেতৃত্বে নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়া কর্মসূচিতে অংশ নেন তারা।

এদিন কর্মসূচিতে অংশ নেন দিনাজপুর জেলার ২০০ জন। সমন্বয়ক আবির হোসেন, মিনহাজ ও ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে তারা সমাবেশে আসেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। সেখানে শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও জনতা। 

অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজ শহিদ মিনারে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল। পরে অন্তর্বর্তী সরকার এ ঘোষণাপত্র পাঠ করবে জানালে আজ ঘোষণাপত্র পাঠ হবে কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু হয়।

মন্তব্য করুন


Link copied