নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত না করার প্রশ্নে আমরা সবাই এক বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এমন বার্তা দেন তিনি।
এর আগে গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত অন্যান্য সকল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে তিনি ঘোষণা দেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে জিরো টলারেন্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সকল ছাত্র সংগঠন। কোনো ফরমেটেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত হতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে দাবির আন্দোলনের মৌসুম চলছে, তাতে আওয়ামী লীগের ব্যপক অর্থায়ন রয়েছে। কোনো ফরমেটেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত হতে দেয়া যাবে না। জিরো টলারেন্স টু আওয়ামী লীগ।
এসময় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে আগামী এক সপ্তাহব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা পৌঁছে দিবে বলেও জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের একতা এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। তা নষ্ট করতে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট হয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট হয়, আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য নষ্ট হয় এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে পারে এমন কোনো কাজ করা যাবে না।
ছাত্র পরিচয়ে আন্দোলনে অনেকে নাশকতা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা গত কয়েক দিন যাবত দেখছি আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এমনকি একইসময়ে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। ছাত্র পরিচয়ে লুঙ্গি পরা ব্যক্তিরাও এসে শিক্ষার্থীদের পিটাচ্ছে, যাদেরকে যে কেউ দেখলেই বুঝতে সক্ষম তারা কারা।
গেলো ১৬ বছরে ব্যাংকের সব টাকা পাচার হয়ে গেছে জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। টাকা পাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগের সময়ে সুবিধাবাদী সকলের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সরকারকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মকর্তাদের বাদ দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আওয়ামী প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যেই এসেছে। তাই সরকারকে আওয়ামী লীগের কর্মকর্তাদেরকে বাদ দিতে হবে।