মমিনুল ইসলাম রিপন: পুলিশের মহাপরিদর্শক মোঃ ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কাঙ্খিত সেবা দিতে পারেনি। পুলিশ স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। করোনার সময় পুলিশের মানবিক কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছিল। বর্তমানে আমরা জনগণের আকাঙ্খাত বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তাই আমরা জনগণের আকাঙ্খার পুলিশ গঠন করতে চাই।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশের তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করবে। আমি পুলিশকে বলতে চাই, আপনারা কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাধ্যমে ব্যবহার হবেন না, আর রাজনীতিবীদদের বলতে চাই আপনারা দলীয় কাজে পুলিশকে ব্যবহার করবেন না।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাদের দীর্ঘদিনের অন্যায়-অপকর্মের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই ছাত্রলীগের কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের অধিকার নেই।
আইজিপি মোঃ ময়নুল ইসলাম বলেন, পুলিশে ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো পরিবর্তন সূচনা হয়েছে। ব্যাপকহারে কর্মকর্তাদের বদলী করা হয়েছে। সেই সাথে যোগ্য ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়েছে।
আবু সাঈদসহ অন্যান্য মামলার বিষয়ে আইজিপি বলেন, গণঅভ্যূত্থানে ছাত্র-জনতা আহত-নিহতের ঘটনার দায়ের করা মামলাগুলো আমরা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আবু সাঈদের মামলাটি পিবিআইয়ের এসপি পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তা তদন্ত করছে। এ মামলায় দুই পুলিশসহ ২১ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুরের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আজমল হোসেন, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট বাসুদেব বণিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, জেলা পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন, সেনা কর্মকর্তা লেঃ কর্ণেল মাসুদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুরের সমন্বয়ক ডাঃ জামিল হোসেন, ইমরান আহমেদ, আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান বেলালসহ অন্যরা। সুধী সমাবেশ শেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত-নিহত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।