আর্কাইভ  সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫ ● ২১ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫
গ্রেটা থুনবার্গসহ সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক ১৭১ জনকে মুক্তি দিল ইসরায়েল

গ্রেটা থুনবার্গসহ সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক ১৭১ জনকে মুক্তি দিল ইসরায়েল

মালয়েশিয়ায় ২৪ বাংলাদেশিসহ আটক ৯৭

মালয়েশিয়ায় ২৪ বাংলাদেশিসহ আটক ৯৭

রংপুরে ৩৪ গ্রামের বিশ হাজার পরিবার পানিবন্দি

রংপুরে ৩৪ গ্রামের বিশ হাজার পরিবার পানিবন্দি

ছাত্রদলে যোগ দিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী

ছাত্রদলে যোগ দিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী

দিনাজপুরে খাদ্য উপদেষ্টা

অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা

বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, বিকাল ০৫:৪৬

Advertisement

শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর: খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন,সরকারের একাধিক ধাপে গৃহীত পদক্ষেপ এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে দেশের বাজারে চালের দাম বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তারপরও দেশে চাহিদার তুলনায় এক কোটি মেট্রিক টন খাদ্য বেশি উৎপাদন হলেও বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে সরকার ২০ থেকে ২৫ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে ।
 
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টায় দিনাজপুর সার্কিট হাউসে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি  জানান, ধান-চাল সংগ্রহের সময় বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেলেও এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ইতোমধ্যে আমদানিকৃত চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। চাল আমদানির পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালুর ফলে বাজারে ক্রেতার চাপ কমেছে। তিন ধাপে ব্যবস্থা নেওয়ায় বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে। খুব দ্রুতই চালের দাম আরও কমে আসবে। বর্তমানে চাল ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা লাইসেন্স বিহীনভাবে খাদ্যশস্য মজুদ করে রাখবে অথবা লাইসেন্স এর শর্ত ভঙ্গ করবে কতদিন রাখতে পারবে কতটুকু পরিমান রাখতে পারবে এটা কিন্তু লাইসেন্সের মধ্যে উল্লেখ করা থাকে যদি কেউ অনিয়ম করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং তাদের ধরা হবে।
যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা এতে জড়িত থাকেন, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে—কেউ ছাড় পাবেন না।ইতোমধ্যে খাদ্য বিভাগের কিছু কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান অনিয়মের অভিযোগে শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন।
 
উপদেষ্টা বলেন,খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে সারা দেশের প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ ছয় মাস ধরে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। এর মধ্যে রংপুর বিভাগের উপকারভোগীর সংখ্যা সাড়ে ৯ লাখ। এ কর্মসূচি নির্বিঘ্নে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এবার সবচেয়ে বেশি ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।গত ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি আগামী ছয় মাস চলবে। এর মধ্যে শুধু রংপুর অঞ্চলের সাড়ে ৯ লাখ পরিবার এ সুবিধা পাচ্ছে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
 
সভায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার এনডিসি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও  আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহুরুল ইসলামসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন


Link copied