নিউজ ডেস্ক: ঢাকার আকাশে ভাসছে এক অজানা অনিশ্চয়তার ছায়া। একদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস শান্ত অথচ দৃঢ় কন্ঠে চেষ্টা করছেন দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে। অন্যদিকে পর্দার আড়ালে কলকাঠিন নাড়ছে এক সময়কার সর্বময়ী নেত্রী বর্তমানে পলাতক শেখ হাসিনা। ডক্টর ইউনুস নিউইয়র্কের একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তার বক্তব্যে উঠে এসেছে আওয়ামী লীগকে ঘিরে সরকারের নতুন দোটানা। তিনি বলেছেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়। শুধু তাদের কার্যক্রম স্থগিত। তবে এটা সাধারণ কথা।
প্রফেসর ভুল কিছু বলেননি। কারণ গণতান্ত্রিক দেশে কোন রাজনৈতিক দলকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা সুখকর কিছু না। তাই বিচারের মুখোমুখি কাজ করায় দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের বিচার কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পরই বাকি সিদ্ধান্ত আসবে। নির্বাচন কমিশন লীগের নিবন্ধন স্থগিত রেখেছেন। সরকারের তাই এই বিষয়ে কিছুই করার নেই। দিল্লিতে বসে গোপন খেলায় মেতেছেন। সরকার ও বিএনপি সহ বিরোধীরা স্পষ্ট বলছে হাসিনা ভারতীয় সমর্থন নিয়ে নির্বাচন বাঞ্চালের ষড়যন্ত্র করছেন। দেশের মানুষ যেন দাবার গুটি আর তিনি খেলোয়াড়। মোহাম্মদ ইউনুসের কথাতেও ফুটে উঠলো উপহাস।
তিনি বলেন ভারত বরাবরই তাকে সমর্থন করে এসেছে। এখনো যারা তার পেছনে আছেন তারা হয়তো কল্পনা করছেন তিনি বিজয়ের বেশে বাংলাদেশেই ফিরবেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। হাসিনার শাসনকাল শেষ হয়েছিল রক্ত, দমন পীড়ন আর দুর্নীতির কালো ছায়ায়। শত শত বিরোধী কর্মীর মৃত্যু, ঘুম, মামলা সবকিছুর দায় এড়িয়ে তিনি বিদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন। অথচ আজও তিনি কোন অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। ডক্টর ইউনুসকে মনে করিয়ে দেয়া হয়েছিল অমর্ত সেনের কথা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ভুল হবে। এটি আগের সরকারের পুনরাবৃত্তি। কিন্তু ইউনিসের যুক্তি অন্যরকম। তার মতে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে আচরণ করেনি।
বরং তারা নির্বাচন বাঞ্চাল, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত। তারা দেখছে পুরনো শাসকের ভূত আবারো ঘাড়ে চেপে বসতে চাইছে। হাসিনার মত এক নেত্রী যদি ফেরেন, তবে কেমন হবে দেশের ভবিষ্যৎ সে নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। আওয়ামী লীগ এখন দাবিকরছে তাদের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেয়া হোক যেন তারা জনগণের দল হিসেবে মাঠে ফিরতে পারে। অথচ জনগণের স্মৃতিতে এখনো জুলাই গণহত্যা দগদগে ঘা হয়ে আছে। দেশ জুড়ে এখন দুই স্লোগানের লড়াই। আওয়ামী লীগ বলছে হাসিনা ফিরবে কিন্তু বিরোধীরা চিৎকার
করছে। হাসিনা ফিরলে বাংলাদেশ রক্তে ভাসবে।