আর্কাইভ  শনিবার ● ২২ নভেম্বর ২০২৫ ● ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২২ নভেম্বর ২০২৫
সেনাপ্রধানকে ‘সেনাবাহিনী পদক’ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

সেনাপ্রধানকে ‘সেনাবাহিনী পদক’ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

যে কারণে কিছু মানুষ ভূমিকম্প টের পান না

যে কারণে কিছু মানুষ ভূমিকম্প টের পান না

মায়ের সঙ্গে বাজারে গিয়ে ভূমিকম্পে প্রাণ গেল মেডিকেল শিক্ষার্থী রাফিউলের

মায়ের সঙ্গে বাজারে গিয়ে ভূমিকম্পে প্রাণ গেল মেডিকেল শিক্ষার্থী রাফিউলের

যার মাথায় উঠলো মিস ইউনিভার্সের মুকুট

যার মাথায় উঠলো মিস ইউনিভার্সের মুকুট

আষাঢ় শেষেও বৃষ্টি নেই, আমন রোপণে বিপাকে কৃষক!

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, বিকাল ০৭:০৮

Advertisement

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে আষাঢ় শেষ হলেও  এখনো পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা নেই। আকাশে মাঝেমাধ্যে মেঘ জমলেও বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠঘাট হয়ে গেছে পানিশূন্য। এতে আমন ধান চাষে বিপাকে পড়েছেন জেলার কয়েক লাখ কৃষক। দিনে সামান্য বৃষ্টি হলেও মাঠ ভিজছে না। এতে বাধ্য হয়ে কৃষকরা সেচ দিয়ে আমন ধান রোপণ করছেন। এতে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে প্রতি একরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটে চলতি মৌসুমে ৫৩ হাজার ৫০৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৭৩ টন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেক কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে ধানবীজ ও সার।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পানির অভাবে অনেক জমি এখনো ফাঁকা পড়ে আছে। কিছু জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার কোথাও কোথাও চারা শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫ থেকে ২০ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। মাঠে কাজ করা কৃষকরা এখন আকাশের দিকে আছে বৃষ্টির আশায়।

উপজেলার কাকিনা গ্রামের কৃষক মনসুর আলী, সাইদুল ইসলাম ও ইয়াছিন আলী বলেন, ‘আষাঢ় শেষ হয়ে গেল, শ্রাবণ শুরু হল। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছি। এতে প্রতি একরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।'

উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক মোফাজ্জল হক বলেন, ‘কী আর করার, হামার পোড়া কপাল। আকাশ মেঘ করলেও বৃষ্টি নাই। শ্যালো মেশিনের পানি কিনি ধান নাগাইছি, সকালে পানি দিলে বিকালে থাকে না। বৃষ্টি না হলে হামর এত খরচের জন্য লোকসান গোনা লাগবে। ’

উপজেলার কাকিনা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। অনেক জমিতে পানি যাওয়ার উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। ফলে পলিথিন পাইপ বসিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছি। ’

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক  ড.সাইখুল আরিফিন বলেন, ‘বৃষ্টি না থাকায় এ বছর খরচ কিছুটা বেশি হচ্ছে। তবে আমরা কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছি, যাতে তারা বড় কোনো সমস্যায় না পড়েন।’

মন্তব্য করুন


Link copied