আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগাছায় একমাসে ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি

রংপুরের পীরগাছায় একমাসে ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি

৪৯তম বিসিএসের প্রশ্নে শহীদ আবু সাঈদ, আলোচিত ‘আয়নাঘর’

৪৯তম বিসিএসের প্রশ্নে শহীদ আবু সাঈদ, আলোচিত ‘আয়নাঘর’

রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

মন খারাপ সুদীপার

কাঠ পছন্দ হয়নি, এ বছর তাই রথে দুর্গার কাঠামো পুজো হল না বাড়িতে!

শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, রাত ০৯:১৬

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: করোনার বছরেও একই ভাবে উল্টোরথের দিন কাঠামো পুজো হয়েছিল। সে বছর কাঠামো তৈরির শিল্পী পাননি চট্টোপাধ্যায় পরিবার। এ বছর ফের মনখারাপ সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের। করোনা কালের মতো এ বছরেও রথযাত্রার দিন তাঁদের বাড়ির দুর্গার কাঠামো পুজো হল না! এ খবর আনন্দবাজার ডট কমকে নিজেই জানিয়েছেন তিনি। কেন এ বছরেও পিছিয়ে গেল কাঠামো পুজো? সুদীপার কথায়, “কাঠামো পুজোর কাঠ পছন্দ হল না। তাই এ বছরেও পিছিয়ে গেল।” কাঠামো পুজোর পাশাপাশি প্রতি বছর জগন্নাথদেব এবং গঙ্গাপুজো সারেন পরিবার। এ দিন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বড় ছেলে আকাশ গঙ্গাপুজো সেরে মাটি নিয়ে এসেছেন। “এই মাটি দিয়েই উল্টোরথের দিন কাঠামোর গায়ে প্রথম মাটির প্রলেপ দেব”, বললেন অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা।সাল ২০২০। বিশ্ব জুড়ে করোনার ছায়া। সে বছর দুর্গাপুজো হবে কি না তাই নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধা ছিল বাঙালির মনে। ওই বছর কাঠামো তৈরির শিল্পীই পাননি সুদীপারা। “এতটাই মন খারাপ যে পুরীর এক দ্বৈতাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন, ‘তোমার পছন্দ নয় মানে ঈশ্বরের পছন্দ নয়। তোমার মাধ্যমে তিনি সেই নির্দেশ দিয়েছেন। এর অর্থ, আরও ভাল কিছু হতে চলেছে।’” এই কথা শুনে ভরসা জাগে তাঁর মনে। 

কাঠামো পুজো না হলেও প্রতি বছরের মতো জগন্নাথদেবের আরাধনায় ব্যস্ত তিনি। হলুদ ছাড়া অন্নভোগ, মালপোয়া, তরকারি, ভাজা নিবেদন করা হয় দেবতাকে। “রান্নাতেও বিশেষত্ব থাকে। গোবিন্দভোগ চালে ঘি, গাটি কচু, সবজি আর সৈন্ধব লবণ ছড়িয়ে সেদ্ধ খিচুড়ি ভোগ রান্না হয়। কী যে অপূর্ব স্বাদ”, দাবি সুদীপার। এ দিন তাঁরা নিরামিষ পদ, জগন্নাথদেবের ভোগ খেয়ে থাকেন।

সুদীপার বাড়িতে প্রায় সব রকমের পুজো হয়। সেই পুজো ঘিরে নানা অলৌকিক ঘটনা। রথযাত্রায় তেমন কিছু কোনও দিন ঘটেছে? স্মৃতি হাতড়ে অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা বললেন, “রথযাত্রায় বৃষ্টি হবেই। আমাদের বাড়ির নিয়ম, জগন্নাথদেব রথে চাপলেই গঙ্গাপুজো সেরে কাঠামো পুজো শুরু করতে হবে। এক বছর এত বৃষ্টি যে গঙ্গারতির সময় কিছুতেই প্রদীপ জ্বালাতে পারছি না!” মন খুঁতখুঁত করছে উপস্থিত সকলের। সে সময় একজন পরামর্শ দেন, প্রত্যেক সলতের মুখে কর্পূর মাখালে প্রদীপ জ্বলতেও পারে। সেই পরামর্শ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের খুব কাজে এসেছিল। “অত বৃষ্টির মধ্যে মন ভরে গঙ্গারতি করেছি। প্রদীপ কিন্তু নেভেনি!”

মন্তব্য করুন


Link copied