আর্কাইভ  শনিবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ● ৩ ফাল্গুন ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুড়িগ্রামে ফেলানীর বাবাকে বুকে নুরুকে জড়িয়ে ধরলেন কেন্দ্রীয় জামায়াত আমির ডা.শফিকুর রহমান

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, রাত ০৮:২৩

Ad

Advertisement

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের কবর জিয়ারত করেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। এরপর ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম নুরুকে বুকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। সেই সঙ্গে আশ্বাস দেন সুষ্ঠু বিচারেরও।


শুক্রবার(২৪জানুয়ারী) বিকাল সোয়া ৪টায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা গ্রামে ফেলানীর বাড়িতে যান ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি ফেলানীর কবর জিয়ারত করে ফেলানীর বাবাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। ডা. শফিকুর রহমান ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম নুরু, মা জাহানারা বেগম ও তিন ভাই জাহান উদ্দিন, আরফান আলী ও আক্কাস আলীর সাথে মতবিনিময় করে সবাই নতুন জামা-কাপড় উপহারসহ তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান জানান, সীমান্তে ফেলানী হত্যার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও এ হত্যার সুবিচার বিচার হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে তৎপর ছিল না। বর্তমান অর্ন্তরবর্তী সরকার ফেলানী হত্যার বিচারকে ত্বরান্বিত করবে এটা আমাদের দাবি।


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা ফেলানীকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছিলো। ফেলানী হত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, সারাবিশ্বের মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছিলো। এটি সারাবিশ্বে একটি আলোচিত ঘটনা। এ হত্যাকান্ডের বিচার হতেই হবে। আন্তর্জাতিক আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার সুনিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন তিনি।


ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম নুরু কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি এখনও আমাদের মেয়ে ফেলানীর মুখচ্ছবি ভুলতে পারছি না। আমার চোখের সামনেই বিএসএফ’র গুলিতে ফেলানীর মৃত্যু হয়। ন্যায় বিচার পেতে আমি ভারতে বহুবার গিয়েছিলাম। কিন্তু গত ১৫ বছরও সেই ন্যায় বিচার আমি পাইনি। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি।


ফেলানীর মা জাহানারা বেগমও কেঁদে কেঁদে বলেন, আমাদের মেয়ে ফেলানী হত্যার পর থেকে একটা দিনও আমি শান্তিতে ঘুমাতে পারিনি। এ হত্যার বিচার না হলে আমাদের মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে না। আমাদেরও শান্তি নেই। ফেলানী হত্যার সঙ্গে জড়িত বিএসএফ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।


ফেলানীর পরিবারের সাথে স্বাক্ষাতের সময় কেন্দ্রীয়, বিভাগ, জেলা ও স্থানীয় জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি ফেলানীর গ্রামে কলোনীটারী জামে মসজিদে স্থানীয় লোকজনের সাথে মতবিনিময় করেন। এরপর বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ড. শফিকুর রহমান ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের কদমতলা মোড়ে স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় করে।

 

মন্তব্য করুন


Link copied