আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

গাজাকে ভুলে যেও না— ইসরায়েলি হামলায় নিহত আল জাজিরা সাংবাদিকের শেষ বার্তা

সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, দুপুর ১২:২১

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার আগে গাজা নিয়ে সর্বশেষ বার্তা দিয়ে গেছেন আনাস আল-শরীফ। আবেগঘন ওই বার্তায় তিনি গাজাকে ভুলে না যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা সিটিতে সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরায়েলের হামলায় নিহত আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ মৃত্যুর আগে আবেগঘন কিছু ইচ্ছা ও শেষ বার্তা রেখে গেছেন। সেখানে তিনি বিশ্বকে অনুরোধ করেছেন— অবরুদ্ধ গাজা ও ফিলিস্তিনি জনগণকে যেন কেউ ভুলে না যায়।

তিনি বলেন, “আমার আশা ছিল আল্লাহ আমাকে দীর্ঘ জীবন দেবেন, যাতে আমি পরিবার ও প্রিয়জনদের নিয়ে আমাদের দখলকৃত আসকালান (আল-মাজদাল) শহরে ফিরে যেতে পারি। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছাই চূড়ান্ত। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষণে বেদনা অনুভব করেছি, বহুবার কষ্টের স্বাদ পেয়েছি, তবুও সত্যকে বিকৃত না করে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কখনো দ্বিধা করিনি।” 

টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, আল-শরীফের পরিবারে তার মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছেন। নিজের মৃত্যুর পর সন্তানদের, বিশেষ করে কন্যা ও ছেলের যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি লেখেন, “তাদের পাশে থাকুন, আল্লাহর পর আপনি-ই হোন তাদের ভরসা। আমি যদি মৃত্যুবরণ করি, তবে নিজের নীতিতে অটল থেকেই করব।”

বার্তায় তিনি বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানান, ফিলিস্তিন ও এর জনগণের পাশে থাকার জন্য, বিশেষ করে নিরপরাধ শিশুদের জন্য। নীরব না থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই যেন ফিলিস্তিনের মুক্তির সেতুবন্ধন হয়ে ওঠেন।

তিনি লিখেছেন, “আমি তোমাদের হাতে অর্পণ করছি ফিলিস্তিনকে— এটা মুসলিম বিশ্বের মুকুটমণি, বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন মানুষের হৃদস্পন্দন। আমি তোমাদের হাতে অর্পণ করছি এর জনগণকে, নিরপরাধ সেই শিশুদের, যারা কখনো স্বপ্ন দেখার বা নিরাপদে বেঁচে থাকার সুযোগ পায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “শিকল যেন তোমাদের নীরব না করে, সীমান্ত যেন আটকে না রাখে। ভূমি ও মানুষের মুক্তির পথে সেতু হয়ে ওঠো, যতক্ষণ না আমাদের চুরি যাওয়া মাতৃভূমিতে মর্যাদা ও স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়।”

নিজের এই উইলে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, যেন তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করা হয় এবং গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হয়। শেষ লাইনে তিনি লিখেন, “গাজাকে ভুলে যেও না... আর তোমাদের আন্তরিক দোয়ার মধ্যে আমাকে ভুলে যেও না।”

মন্তব্য করুন


Link copied