আর্কাইভ  বুধবার ● ১২ নভেম্বর ২০২৫ ● ২৮ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ১২ নভেম্বর ২০২৫
তিস্তায় বাঁধ দেয়া সামাজিক অপরাধ: মমতা

তিস্তায় বাঁধ দেয়া সামাজিক অপরাধ: মমতা

ভোগান্তির আরেক নাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া

ভোগান্তির আরেক নাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া সনদে চাকরি করছেন ১৮ কর্মকর্তা

ভুয়া সনদে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা থেকে উপরেজিস্ট্রার
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া সনদে চাকরি করছেন ১৮ কর্মকর্তা

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে, হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যান

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে, হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যান

চবির হল ছিল যেন ছাত্রলীগের অস্ত্রাগার!

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, রাত ০৩:৫২

Advertisement

অনলিাইন ডেস্ক:  ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে মিলেছে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদক। ছিল পেট্রোল বোমাসহ নানা ধরনের বিস্ফোরকও। পুরো হল ছিল যেন ছাত্রলীগের ‘অস্ত্রাগার’!

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রলীগের ১১টি গ্রুপ-উপগ্রুপ। তারা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায়শ যে সংঘর্ষে জড়াত সেখানে এসবের ব্যবহার হতো প্রকাশ্যে।

নিরাপত্তা দপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, সরকার পতনের পর হলগুলোতে অভিযান চালিয়ে ১০৭ টি রামদা, ৪ টি চাপাতি, ৬৬ টি ছোট ছুরি, ৭২ টি ক্রিকেট স্ট্যাম্প, ২২ টি হেলমেট, ৪টি পেট্রোল বোমা, ১০টি চকলেট বোমা, ১ টি প্যারাসুট রকেট বোমা, ৪৪টি মদের খালি বোতল, ১০টি গাঁজা সেবন কলকি, ৫টি ল্যাপটপ,  ১টি পুলিশ ক্যাপ, ৯ কেস মদের বোতল পাওয়া গেছে। এছাড়া পেট্রোল বোমা তৈরির সরঞ্জামও পাওয়া যায়। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ সিভয়েস২৪’কে বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সন্ত্রাসীদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছিল। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা একটি ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিজেরদের ছায়া তলে নিয়ে দল ভারী করেছিল।

প্রশাসনকে স্বাগত জানিয়ে এ ছাত্রনেতা বলেন, নতুন বাংলাদেশে কোন ভয়ের পরিবেশ থাকবে না। সন্ত্রাসের স্থান থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্ত্র ও মাদকমুক্ত করতে প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। 

চবির নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) মো. গোলাম কিবরিয়া সিভয়েস২৪’কে বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রশাসন এবং নিরাপত্তা দপ্তরের যৌথ অভিযানে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে এগুলো নিরাপত্তা দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আমরা এগুলো তালিকা করে আমাদের অস্ত্রাগারে সংরক্ষণ করেছি।

এ প্রসঙ্গে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ সিভয়েস২৪’কে বলেন, নিয়োগের পরপরই বেশ কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন উপাচার্য। যার মধ্যে একটা অন্যতম হলো শিক্ষা এবং গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা। সেই দিক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রক্টরিয়াল বডি বেশ কিছু নিয়মিত কর্ম সম্পাদন করে চলেছে। যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্ধকার এলাকাসমূহকে আলোকোজ্জ্বল করা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং সংলগ্ন এলাকা মাদকমুক্ত করা, হলসমূহকে শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য নিরাপদ করে তোলা। 

‘এর অংশ হিসেবে একটানা ৩-৪ দিন সবগুলো হলে প্রক্টরিয়াল বডি এবং নিরাপত্তা দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে নিয়মিত পরিদর্শন পরিচালিত হয়। এই পরিদর্শন চলাকালে প্রচুর দেশীয় ধারালো অস্ত্র, মাদক ব্যবহারের সরঞ্জাম, লোহার রড, ছুরি, বিভিন্ন ধরনের বোমা, ইত্যাদি উদ্ধার হয়। আমাদের নিয়মিত পরিদর্শন অব্যাহত আছে এবং থাকবে।’— যোগ করেন প্রক্টর।

মন্তব্য করুন


Link copied