আর্কাইভ  বুধবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৫ ● ৭ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের আরেক উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৬ রোগী

রংপুরের আরেক উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৬ রোগী

সাংবাদিকের ফোন নিয়ে ভিডিও ডিলিট করলো অধ্যক্ষ

সাংবাদিকের ফোন নিয়ে ভিডিও ডিলিট করলো অধ্যক্ষ

রংপুর মহানগর যুবলীগের সভাপতি বাশার আটক

রংপুর মহানগর যুবলীগের সভাপতি বাশার আটক

১৫ মিনিটের জন্য থমকে যাবে রংপুরসহ পাঁচ জেলা

১৫ মিনিটের জন্য থমকে যাবে রংপুরসহ পাঁচ জেলা

চুক্তি সংখ্যা দুই: ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দৃঢ় হবে

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রাত ১০:০১

Advertisement

 নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকা ও প্যারিস আজ বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট এবং বাংলাদেশের নগর অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে (পিএমও) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্র দুটি স্বাক্ষর করে বিনিময় করা হয়। একদিনের সফরে এসে অনেকগুলো ইস্যুতে ম্যাক্রো কথা বলেছেন, কয়েকটি জায়গায় গিয়ে বাংলাদেশকে দেখতে চেষ্টা করেছেন। এবং দুইদেশের মধ্যে একটা দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনে এই যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

এবারের যোগাযোগে যে চুক্তি দুটি হলো তার একটি হলো, ‘ইমপ্রুভিং আরবান গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোগ্রাম’ বিষয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ফ্রান্সের ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট সংস্থার (এএফডি) মধ্যে ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি অ্যাগ্রিমেন্ট। আরেকটি হচ্ছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম সম্পর্কিত ফ্রান্সের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএএসের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) চুক্তি।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর এই সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিছু সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।’

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এ সময় ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত ফ্রান্স প্রতিনিধি দলের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার পাঁচ দশকের অধিক সময় চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আজ ঐতিহাসিক একটি দিন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আমার সার্বিক বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। চলমান ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নের সার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার এই নতুন কৌশলগত অগ্রযাত্রা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা উভয়েই আশাবাদী।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ফ্রান্স আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কৌশলগত সুরক্ষা অবকাঠামো বিনির্মাণে উন্নত ও বিশেষায়িত কারিগরি সহায়তা প্রদানে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স নেতৃস্থানীয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।’

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ফ্রান্সের অগ্রণী ভূমিকাকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায় এবং এ লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে একটি টেকসই তহবিল গঠনে ফ্রান্সের আহ্বানকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ফ্রান্সের সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভাষা বিনিময়ের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই সফরের সামগ্রিক বিষয়ে একটি যৌথ-বিবৃতি খুব শিগগির প্রকাশ করা হবে এবং দুই দেশের সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় আপনাদের আরও বিস্তারিত অবহিত করা হবে।’

এএফপির বরাত দিয়ে ফ্রান্সের গণমাধ্যম আরএফআই লিখেছে, ফ্রান্সের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে "দৃঢ়তা” আনতে এবং চীন কেন্দ্রিক রাজনীতি ও কূটনীতিকে মাথায় রেখে রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার বাংলাদেশে গিয়েছেন। গণমাধ্যমগুলো প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ও শেখ হাসিনার ছবিও প্রকাশ করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন বিস্তৃত অঞ্চলে প্রভাবের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সকে একটি বিকল্প প্রস্তাব হিসাবে হাজির হয়েছেন বলে ফ্রান্সের গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। "বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বিশ্ব মঞ্চে তার স্থান পুনরুদ্ধার করছে” বলে মন্তব্য করেছেন ম্যাক্রোঁ। প্রতিবেশি ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর রোববার ঢাকায় আসার পর একথা বলেন ম্যাক্রোঁ। ক্রমবর্ধমানশীল অর্থনীতি ও ১৭ কোটি মানুষের সম্ভাবনাময়তার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে "অসাধারণ সাফল্য” অর্জনকারী বলেও মনে করেন তিনি।

মন্তব্য করুন


Link copied