আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৪ ● ৭ কার্তিক ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: উত্তরবঙ্গে ঘনিয়ে আসছে শীত; তাপমাত্রা ১৭.৮       আড়াই শতাধিক এসআইকে অব্যাহতি       প্রবাসী সরকার: কী বলছে আ.লীগ ও ভারত       রংপুরে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল        ব্যারিস্টার সুমন আটক      

 width=
 

ডিমলায় বুড়ি তিস্তার বাঁধ ভেঙ্গে শতাধিক পরিবার পানিবন্দী ॥  তলিয়ে গেছে আবাদী জমি

বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪, রাত ০৮:৫২

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় বুড়ি তিস্তা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে করে পানিতে নিমজ্জিহ হয়েছে ৩০০ একর আবাদি জমি।
উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে বৃহস্পতিবার(২০ জুন) ভোরে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দর খাতা গ্রামে বুড়ি তিস্তা নদীর মূল বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এসময় বাঁধের অন্তত ২০০ মিটার অংশ বিধ্বস্ত হয়ে পানি প্রবেশ করে সুন্দরখাতা, রূপাহারা, মধ্যসুন্দরখাতা, সিংপাড়া, মাঝিয়ালীপাড়া, মাঝিয়ালীর ডাঙ্গাসহ ১০টি গ্রামে। এতে করে এসব গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। পানিতে তলিয়ে গেছে ৩০০ একর আবাদী জমি। 
স্থানীরা জানায়, ওই বাঁধটি অনেক পুরোনো হওয়ায় দূর্বল হয়ে পড়ে। অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলে বৃহস্পতিবার  ভোরে সুন্দরখাতা গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভাঙ্গনের আকার বাড়তে থাকলে বিকাল নাগাদ ২০০ মিটারে পৌঁছে। ওই ভাঙ্গন দিয়ে হুহু করে পানি প্রবেশ করায় এলাকার ১০ গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ৩০০ একর আবাদী জমি। এসব জমির আমন বীজতলা, মরিচ, পাটসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়েছে। 
অপর দিকে বৃহস্পতিবার(২০ জুন) নীলফামারীর ডালিয়াস্থ তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি সকাল ৬টায় বিপৎসীমার  ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচ গট খুলে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র বলছে তিস্তা নদীর পানি কমে সন্ধ্যা ৬টায় ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে রাতে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমার ৫২.১৫ মিটার। এ দিন ২৪ ঘন্টায় তিস্তা অববাহিকার ডালিয়ায় ১১২ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গজলডোবায় পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে তিস্তার পানি আগামীকাল(শুক্রবার) আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। 
সুন্দরখাতা গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ (৭৫) জানান, গ্রামের বুড়ি তিস্তা নদীর মূল বাঁধটি নির্মিত হয় ষাটের দশকে। এরপর থেকে আর সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থান দূর্বল হয়ে পড়ে। একারণে এলাকাবাসী দির্ঘদিন ধরে বাঁধটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিল। একই গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান (৪৫) বলেন,‘শুধু বাঁধ ভেঙ্গেই নয়, নদীতে ঢলের পানি আসায় বিভিন্ন স্থানে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে এসব গ্রামে। দ্রুত মেরামত করা না হলে পানি জমে থাকা জমিতে আবাদ করা সম্ভব হবেনা। আবাদ করতে না পারলে অনেক কৃষক পরিবার সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বে’।
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, বুড়ি তিস্তার নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় এক হাজার বিঘা আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে মাঠে থাকা আমন ধানের বীজতলা, পাট, মরিচ সহ অন্যান্য ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমান নিরুপনে কাজ চলছে। 
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌমলী আতিকুর রহমান বলেন, বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিনা সে বিষয়ে কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ভাঙ্গা অংশসহ বাঁধ উপচে গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। এতে করে ৩০০ একর আবাদী জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিষটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied