স্টাফ রিপোর্টার(নীলফামারী) ॥ নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলায় ৫১ বিজিবি ও পুলিশের পৃথক অভিযানে চোরাই পথে আসা ২১টি ভারতীয় গরু আটক করা হয়েছে। আটককৃত গরুর মধ্যে বিজিবি ১৩টি ও পুলিশ ৮টি গরু আটক করে।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারী সদস্যরা সক্রিয় হয়ে অবৈধ পথে গরু আনায় ব্যস্ত। শুক্রবার(১৩ মে) রাতে উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ও পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারিরা অবৈধভাবে নদী পথে ভারতীয় গরু আনার সময় ৫১ বিজিবি’র থানার হাট ও কালিগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা ১৩টি গরু ও শনিবার(১৪ মে) ভোরে ডিমলা থানা পুলিশ পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের সলতুর মোড় এলাকা থেকে ৮টি ভারতীয় গরু আটক করে।
৫১ বিজিবির থানার হাট ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আবু সাইদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় টহলরত অবস্থায় ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারী সদস্যরা অবৈধভাবে নদী পথে ভারতীয় গরু আনার সময় বাংলাদেশ সীমান্তে আমরা ১৩ টি গরু আটক করি। এ সময় গরু পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
অপর দিকে ডিমলা থানার ওসি লাইছুর রহমান জানান, গোপন খবরে ডোমার-ডিমলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে ডিমলায় ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে সলতুর মোড় এলাকায় ৮টি ভারতীয় গরু অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সীমান্ত এলাকা পূর্ব ছাতনাই,পশ্চিম ছাতনাই, বালাপাড়া, খগা খড়িবাড়ি, টেপা খড়িবাড়ি সহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু চোরাই পথে এনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে গড়ে প্রায় ৪০০ গরু আমদানি করা হচ্ছে এসব সীমান্ত এলাকা দিয়ে। কয়েক দিনের মধ্যেই আমদানির সংখ্যা চার গুণ বাড়বে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারতীয় গরু ও মাদক চোরাচালান হচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও থামছে না চোরাকারবারিদের দৌড়াত্ব। উল্টো মামলা হামলার স্বীকার হতে হচ্ছে সাধারণ গ্রামবাসীদের।
ডোমার-ডিমলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমানের দিক নির্দেশনায় ডিমলা ও ডোমার সীমান্তে অবৈধ চোরাচালান বন্ধে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। দ্রুত আমরা তা বন্ধ করতে সক্ষম হব। #