স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ আসাদুজ্জামান নূর। আওয়ামী লীগের চেয়েও তার বড় পরিচয় তিনি নন্দিত কথা সাহিত্যিক ও নির্মাতা প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের “কোথাও কেউ নেই” নাটকের প্রধান চরিত্রের সেই বাকের ভাই। তার চেয়েও বড় পরিচয় তিনি একজন দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব। তিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রবিবার ভোট গ্রহণ ও ভোটের বেসরকারী ফলাফলে নীলফামারী ২ সদর আসনে নৌকার মাঝি হিসাবে তিনি টানা পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অঅসটি পুনরায় নুরের আলোয় আলোকিত করে রাখলেন। তিনি ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হন। তার নিকটতম ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ভোট পান ১৫ হাজার ৬৮২। বিগত এই আসনে চারটি সংসদ নির্বাচনে নুরকে লড়তে হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর বিপক্ষে। এবার জামায়াত নির্বাচনের মাঠে ছিলনা।
২০০১ সাল থেকে নীলফামারী সদর আসনটি তারকা খ্যাত আসাদুজ্জামান নুরের বাকের ভাইয়ের আসন হিসাবে পরিচিতি পায়। আসাদুজ্জামান নুর তার জীবনের প্রথম নির্বাচনে নেমে তুমুল প্রতিদ্বন্দীতা করতে হয়েছিল জামায়াতের প্রার্থীর সাথে। সেটি ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম সংসদ নির্বাচন ছিল। সে সময় ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২০ হাজার ১৪৯ জন। ভোট প্রদান করেছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৭ জন। ওই নির্বাচনে আসাদুজ্জামান নুর নৌকা প্রতীকে ৬৯ হাজার ৯৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দাঁড়িপাল¬া প্রতীকের জামায়াত ইসলামীর মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ। তিনি পান ৬৫ হাজার ৮৩৫ ভোট।
২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৭৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ২০ হাজার ৯২৩ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভিআইপি প্রার্থী আসাদুজ্জামান নুর নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬ ২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াত ইসলামীর মনিরুজ্জামান মন্টু। দাঁড়িপাল¬া প্রতীকে তিনি পান ৮২ হাজার ৩২৪ ভোট পান।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নীলফামারী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নুর বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় বিজয়ী হয়েছিলেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার ৭ শত ৩৩ জন । ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯শত ১১ জন। নৌকা প্রতীকে তিনি ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতের মনিরুজ্জামান মন্টু। তিনি ভোট পান ৮০ হাজার ২ শত ৮৩।
বিগত টানা চারবারের এমপি থেকে নীলফামারীর ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। এবার তিনি উন্নত নীলফামারী গড়ার শপথ নিয়েছেন।
গত ২০ বছরে এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উত্তরা ইপিজেড নির্মাণ,সরকারি কলেজে অনার্স ও মাষ্টার্স কোর্স চালু, মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন, আধুনিক শেখ কামাল স্টেডিয়াম, বহুতল বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ডায়াবেটিকস হাসপাতাল, প্রত্যেকটি রাস্তাঘাট পাকাকরণ, ব্রিজ কালর্ভাট নির্মাণসহ অনেক উন্নয়ন কাজ করেছেন। মঙ্গা নামক অভাবকে চিরতরে দূর করে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এলাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যা¤প চালিয়ে আসছেন। ফ্রি মেডিক্যাল ক্যা¤েপ রোগের ব্যবস্থাপত্রসহ চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করেন তিনি। তাই দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষজন বলেন বিকল্পহীন আসাদুজ্জামান নূর।