আর্কাইভ  সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫ ● ২১ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

রংপুরে বেড়েছে চালের দাম

শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, বিকাল ০৬:৫৫

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক : রংপুর নগরীর জিএল রায় রোডে পান দোকান করেন আব্দুল মালেক। চাল কিনে খেতে হয় তাকে। চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় তিনি দিশেহারা। আমিন মিয়া, মাহাবুব রহমান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চালের দাম বাড়ায় তারও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের মত হাজার হাজার নিম্নআয়ের মানুষ চালের আস্বাভাবিক দাম বাড়ায় দিশেহারা। শুধু নিম্নআয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে নাভিশ্বাস উঠেছে।

এদিকে, চালের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। গত ১০ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম প্রকারভেদে বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। কাঁচা মরিচের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রংপুরের মাহিগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন চাল বাজারের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন আগেও মোটাচাল বিক্রি হয়েছিল ৪৫ টাকা কেজি। সেই চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি। ২৯ জাতের চাল কদিন আগে প্রতিকেজি ৫২ টাকা ছিল, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা। ২৮ জাতের চাল ছিল ৫৬ টাকা, সেটি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৩ টাকা, মিনিকেট জিরাসাইল কদিন আগে ছিল ৬২ টাকা, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা।

নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার চালের আড়তদার মাসুম মিয়াসহ কয়েকজন চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানান, ভারত থেকে চালের আমদানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ধান কাটা মাড়াই যখন শুরু হয়, তখন অটো রাইসমিল মালিকরা তেমন একটা ধান ক্রয় করে নাই। গত ১০ দিন থেকে আটো রাইস মিল মালিকরা ধান কিনে মজুদ করে রাখছে। এছাড়া বড় বড় ব্যবসায়ী এবং বড় কৃষকরা ধান মজুদ করে রেখেছেন। ফলে বাজারে কিছুটা কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া সরকারি গোডাউনে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান চলছে। এসব কারণে চালের দাম বাড়ছে। এখন কৃষকের ক্ষেতেও ধান নেই। হাটেও তেমন একটা ধান উঠছে না।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ছোট ছোট হাসকিং মিলগুলো এখন আর চলে না। বড় অটো রাইস মিল মালিকরা ধান কিনে মজুদ করে নানা অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া বড় বড় কৃষক ধান কাটা মাড়াই করে ঘরে রেখে দিয়েছে। তারা বাজারে চাল বিক্রি করছে না। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে, চালের বাজার স্থিতিশীল হবে না।

জানা গেছে, নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রতিবছর অর্ধলাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকে। এর পরেও এই অঞ্চলের চালের দাম কমছে না। এখন বোরো ধানের ভরা মৌসুম। এই মৌসুমে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে চালের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে।

মন্তব্য করুন


Link copied