আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ৬ পৌষ ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ:
ওসমান হাদি দেশে ফিরলেন কফিনবন্দি হয়ে

ওসমান হাদি দেশে ফিরলেন কফিনবন্দি হয়ে

বিমানবন্দর থেকে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নেয়া হবে হাদির মরদেহ

বিমানবন্দর থেকে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নেয়া হবে হাদির মরদেহ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে

লালমনিরহাটে চিতাবাঘ আতঙ্ক, বিজিবির সতর্কবার্তা

লালমনিরহাটে চিতাবাঘ আতঙ্ক, বিজিবির সতর্কবার্তা

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর হলেন জুলাই মামলার আসামি!

শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ০২:১৩

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার উপর হামলার মামলার এক আসামিকে।

 
সূত্র জানায়, বর্তমান প্রক্টর ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক ড. ফেরদৌস রহমানের বিশেষ সুপারিশে তারই বিভাগের জুনিয়র শিক্ষক এবং জুলাই মামলার আসামি মো. মনিরুল ইসলামকে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
 
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাই আন্দোলনে আহত মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ ১৪০ জনের নাম উল্লেখ করে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
 
মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই মামলার ১৩৩ নম্বর আসামি হিসেবে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রক্টর ও ইইই বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলামের নাম রয়েছে।
 
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ৮০০ থেকে ১,০০০ শিক্ষার্থী-জনতা দুপুর ৩টার দিকে রংপুর শহরের টাউন হল মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে বাদী শহিদুল মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১০ দিনের চিকিৎসার পর সুস্থ হন।
 
এ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলামকে ফোন করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
 
জুলাই মামলার আসামিকে কেন সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হলো—এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, “প্রক্টর তাঁর সহকারী প্রক্টর বেছে নেন। এ বিষয়ে তিনি ভালো বলতে পারবেন।”
 
একই প্রশ্নে প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেন,
“মামলাটা ভুয়া। বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মনিরুল জড়িত নন। এমনকি বাদী এ বিষয়ে এভিডেভিটও দিয়েছেন। তাই তাকে সহকারী প্রক্টর রাখা হয়েছে।”

মন্তব্য করুন


Link copied