আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

আফিফ-মিরাজের বীরত্বে টাইগারদের অবিশ্বাস্য জয়

বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, বিকাল ০৭:০৭

Advertisement Advertisement

দলীয় ৪৫ রানে নেই টপঅর্ডারের ৬ উইকেট, ঠিক সেখান থেকেই রেকর্ড জুটি গড়ে বাংলাদেশকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বিপর্যয়ে পড়েও এই জুটির অসাধারণ দৃঢ়তায় ৪ উইকেটে জিতে নেয় টাইগাররা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ফেবারিটের তকমা নিয়েই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। টস হেরে শুরুতে বোলিং করে নাগালেই বেঁধে ফেলেছিল সফরকারীদের। কিন্তু আফগানিস্তানের শক্তির জায়গা যে তাদের বোলিং ইউনিট সেটি কে না জানত! যদিও তামিমদের পড়াশুনা ছিল মুজিব-রশিদ-নবিদের স্পিন নিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে এদিন ধস নামালেন অচেনা ফজল হক ফারুকী। বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে বাজে পারফর্ম করা আফগান এ পেসার এদিন একাই তুলে নেন প্রথম চারটি উইকেট।

এরপর মুজিব এবং রশিদও পেয়েছেন শিকারের দেখা। দলীয় পঞ্চাশের আগে ছয় উইকেট হারিয়ে একসময় একশর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের ইনিংস। কিন্তু সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন। হার না মানা গল্প লিখলেন। যেন ধ্বংসস্তূপে ফুল ফোটালেন দুই তরুণতুর্কি টাইগার ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। বুক চিতিয়ে লড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়লেন আফিফ ও মিরাজ। আগের রেকর্ড ছিল ইমরুল কায়েস ও সাইফউদ্দিনের ১২৭ রান, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

আফগানিস্তানের দেওয়া মাত্র ২১৬ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় রান পঞ্চাশ না পেরোতেই ফিরে গিয়েছিলেন দলের প্রথম সারির ছয় ক্রিকেটার। তবে এরপরই হাল ধরেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার আফিফ এবং মেহেদী মিরাজ।

সিঙ্গেল, ডাবল কিংবা বাজে বলে চার মেরে টপ অর্ডারের ধ্বংসস্তূপে যেন ফুল ফোটান দুজনে মিলে। ৪৫ রানে ছয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন দুজনে।

এর আগে ১৩ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। ফজল হক ফারুকীর বল লিটন দাসের ব্যাটের কানায় লেগে গিয়েছিল উইকেটের পেছনে। উইকেটরক্ষক রহমানুল্লাহ গুরবাজ ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচটি তালুবন্দি করেন। যদিও প্রথম দফায় আম্পায়ার আউট দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে সফলতা পায় সফরকারীরা।

লিটন দাসের হতাশার দিনে হতাশা বাড়ালেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন তামিম। কিন্তু প্রত্যাবর্তনটা রাঙাতে পারলেন না। রান করলেন মাত্র ৮।

ফজল হক ফারুকীর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন দেশসেরা ওপেনার। কিন্তু এবারও প্রথম দফায় আউট দেননি আম্পায়ার। আবারও রিভিউ, আবারও আফগানিস্তানের সফলতা।

লিটন-তামিমের পথ ধরলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমও। এবারও বোলার সেই ফজল হক ফারুকী। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। ৫ বল খেলে করেছেন মাত্র ৩ রান। ফজল হকের টানা চার উইকেটের পর বল হাতে নিয়েই সাফল্য পান তারকা স্পিনার মুজিব উর রহমান। ফরচুন বরিশালের সতীর্থ সাকিব আল হাসান তার বল খেলতে গিয়েও ব্যাট থেকে গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তার আগে ১৫ বলে এক চারের মারে করেছেন ১০ রান।

এদিকে, ঘরের মাঠে অভিষেক ম্যাচটা রাঙানোর স্বপ্ন বুনেছিলেন চট্টগ্রামের ক্রিকেটার ইয়াসির আলি রাব্বি। কিন্তু টিম টাইগার্সের টপ অর্ডারে ধস নামানো আফগান পেসার ফজল হক ফারুকীর কাছে যেন পাত্তাই পেলেন না। পাঁচ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন। 

শেষ পর্যন্ত আফিফ অপরাজিত ছিলেন ১১৫ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় ৯৩ করে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া মেহেদী মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ১২০ বলে ৯ চারে ৮১ রানে। 

মন্তব্য করুন


Link copied