আর্কাইভ  শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫ ● ৮ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

♦ যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রেও
♦ নির্বাচনে আগ্রহীরা ঘুরছেন এলাকায়
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

দুই ধরনের কাবিননামার জেরে কাজী গেল শ্রীঘরে

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, রাত ০৮:২৯

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ একটি বিয়ের দুই ধরনের কাবিনার ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই এলাকার নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজি) মোরশেদুল ইসলাম (৩৫)। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে বৃহস্পতিবার(২৫ মে) তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। 
অভিযোগে জানা যায়, ২০২১ সালে ডিমলা উপজেলায় পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঘাটপাড়া গ্রামের রশিদুল ইসলামের মেয়ের সাথে জুগিরডাঙ্গা গ্রামের রফিক ইসলাম রানার বিয়ে হয়। বিয়েতে সকলের উপস্থিতিতে চার লাখ ৭৫ হাজার ১০১ টাকা দেনমোহর করা হয়। বিয়ের দেড় মাস পরেই স্বামী-স্ত্রী মধ্যে বনিবোনা না হওয়ায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। ২০২৩ সালে রানার স্ত্রী বাদী হয়ে জেলা পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত তাদের মোহরানা প্রামাণাদি উপস্থাপন করতে বলেন। মেয়ে পক্ষ কাজির নিকট পাওয়া চার লাখ ৭৫ হাজার ১০১ টাকা দেনমোহর এর প্রমান উপস্থাপন করে। অপর দিকে ছেলে পক্ষ এক কাজির নিকট থেকে প্রমানাদি হিসাবে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেনমোহর উপস্থাপন করে। এ ঘটনায় কনে পক্ষ পাক্তন স্বামী ও  উক্ত কাজি সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন বিবাহ রেজিস্ট্রার বলেন, ডিমলায় আব্দুল গনি, মোশারফ হোসেন, মোশশেদুল ইসলাম সহহ আরও অনেকে দেবীগঞ্জ উপজেলার আবুল হোসেন কাজীর ছেলে মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে কাজ করছে। এছাড়াও ওই কাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে দীর্ঘদিন ধরে সেই চক্রের সাথে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন করে আসছে। মূলত, নিবন্ধিত কাজীরা যেসব বিয়ের নিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করেন, চক্রটি সেসব বিয়ে নিবন্ধন করে। মোরশেদুল ইসলাম নিবন্ধিত কাজীও নন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিকভাবে কাজীর কাজ করে আসছিলেন।
নীলফামারী কাজী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, আবুল হোসেন কাজী ও তার ছেলে মেহেদী হাসানের কারণে জেলায় বইসহ ভুয়া কাজী এসেছে। তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলাও রয়েছে। আমরা একাধিকবার ডিসি-এসপি অফিসে স্মারক লিপি প্রদান করেছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বরং তারাই বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এদের কারণে আমাদের বিভিন্ন জটিলতায় পড়তে হয়। এরা বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহসহ নানান অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন ইচ্ছে করলে দ্রুত এই সমস্যার নিরসন ঘটবে।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান জানান, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় উক্ত কাজিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

মন্তব্য করুন


Link copied