স্টাফ রিপোর্টার: বাম গণতান্ত্রিক জোট রংপুর জেলার উদ্যোগে বুধবার বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব চত্বরে স্বৈরাচার পতন দিবস পালন করেছে।প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে শহিদ মিনারে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের প্রতি পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন শেষে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
জোটের রংপুর জেলা সমন্বয়ক ও জেলা বাসদের আহবায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কমিউনিস্ট পার্টির রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড কাফি সরকার, বাসদ মার্ক্সবাদী রংপুর জেলা আহবায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, বাসদ সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,অবৈধ সামরিক শাসন হটাও,মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, লুটপাট, দুর্নীতি বন্ধ,ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১০ দফা দাবি বাসাতবায়নের জন্য প্রায় ৯ বছর স্বৈরাচারী সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ৮দল,বিএনপির নেতৃত্বে ৭দল এবং ৫দলীয় জোটের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে সামরিক জান্তা এরশাদ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য হয়।এই আন্দোলনে ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন,নূর হোসেনসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী প্রাণ বিসর্জন দেন।পরবর্তীতে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আপেক্ষিক অর্থে ১৯৯১ এ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।ওই সময়ে ৩ জোটের রুপরেখায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ভবিষ্যতেও যেন জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁদের পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। সেজন্যে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। ১৯৯৬,২০০১ ও ২০০৮ সালে এই ৩টি নির্বাচনও আপেক্ষিক অর্থে কিছুটা গ্রহণযোগ্য ছিলো।
স্বাধীনতার পর দলীয় সরকারের অধীনে ৭টি নির্বাচন হয়েছে, প্রত্যেকটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল জয়লাভ করে এবং ভোটে কারচুপি, জালিয়াতির প্রমাণ মিলে।সর্বশেষ ২০১৪ তে ভোটার বিহীন,২০১৮তে নিশী ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী জোট ক্ষমতা আসে।এখন আবার আজ্ঞাবহ ইসিকে দিয়ে একতরফা তফসিল ঘোষণা করে সরকার নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে।জনগণের আকাঙ্খার প্রতি বৃদ্ধাআঙ্গুলি প্রদর্শন করে বিরোধী মত পথকে দমন-পীড়নের মাধ্যমে যেনতেন ভাবে ভোট করে ক্ষমতায় যেতে আওয়ামী সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে।নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ ও একতরফা তফসিল বাতিল করে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তনের আহবান জানান।
প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে শহিদ মিনারে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের প্রতি পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন শেষে ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।