কুড়িগ্রাম ।। শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর জনজীবন। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জনদুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষসহ গৃহপালিত পশুপাখিগুলোও।
১ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৯ টায় ফুলবাড়ী উপজেলাসহ জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ার যানবাহনগুলো হেট লাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করছে। কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষগুলো। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না কেউ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুনের কুণ্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কমতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে। সব থেকে বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা।
এই শীতে কাজের সন্ধানে বের হওয়া উপজেলার কুরুষাফেরুষা এলাকার বিজয় চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই কুয়াশাত কিছুই দেখা যায় না। আর কি কই দু:খের কথা বাহে, পেট তো আর ঠান্ডা বোঝে না!’
খেতের পাশে সড়কের একটি কালভার্টের উপর বসে সূর্যের অপেক্ষা করছেন একই এলাকার নারী কৃষক হালিমা বেগম। সূর্যের দেখা পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজের ভুট্টা ক্ষেতে আগাছা পরিষ্কার করবেন। এই শীতেও কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি। না হলে পেটে ভাত জুটবে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ১ সপ্তাহ ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করছে। আজ বুধবার সকাল ৯ টায় জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’