আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১ মে ২০২৫ ● ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১ মে ২০২৫

ভারতের হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কে সীমান্তবর্তী মানুষ

বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫, দুপুর ০১:৫৬

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এখন তলানিতে পৌঁছেছে। দূরপাল্লার নির্ভুল অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর কথা ভাবছে নয়াদিল্লি। হামলা হলে, ভারতকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাক-ভারত অস্থিরতা বেড়েই চলছে। টানা সাত দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে গোলাগুলি। এতে আতঙ্কিত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সহিংসতার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে ইসলামাবাদকে সামরিকভাবে কঠোর জবাব দেওয়ার পথ খুঁজছে দিল্লি। গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সর্বোচ্চ পরিষদে বৈঠকের পর সামরিক হামলার সম্ভাব্য পথ ঠিক করেছেন নরেন্দ্র মোদি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালাবে না ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানে দূরপাল্লার নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথাই বিবেচনা করছে মোদি সরকার। অ্যাকশনে যেতে সরকারকে জোরালো তাগিদ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী বলেন, কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই শক্তিশালী অ্যাকশন নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর টালবাহানা করা উচিত নয়। সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে, ভারত এসব সহ্য করে না।

এদিকে, ভারত পাকিস্তানে হামলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আগে হামলা করবে না। যদি ভারত আক্রমণ চালায়, তব ইসলামাবাদ তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

উত্তেজনা যত বাড়ছে, ততই বিপাকে পড়ছেন দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। দিন কাটছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়।

সীমান্ত এলাকার পাকিস্তানি নাগরিক মালিক মুহাম্মদ আফজাল বলেন, যখন তারা গোলাগুলি শুরু করে, আমাদের কিছুই জানায় না। হঠাৎ করেই গোলাগুলি শুরু হয়। মানুষ এদিক সেদিক দৌঁড়াতে থাকে। নিজেদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে। বুলেট থেকে মানুষ বাঁচতে পারছে। কিন্তু মর্টার থেকে গুলি হলে মানুষ বাঁচতে পারবে না।

আরেক পাকিস্তানি মুহাম্মদ জামিল বলেন, অতীতেও বিভিন্ন গোলাগুলির ঘটনায় শিশু-বয়স্করা মারা গেছেন। ফসল নষ্ট হয়েছে। মারা গেছে গবাদিপশু।

দশকের পর দশক ধরে এমন আন্তসীমান্ত গোলাগুলিতে ভুক্তভোগী সীমান্তবর্তী পাকিস্তানিরা। অতীত অভিজ্ঞতার রেশ ধরে যুদ্ধের বিধ্বংসী প্রভাবের কথা চিন্তা করে আঁতকে উঠছেন তারা।

মন্তব্য করুন


Link copied