নিউজ ডেস্ক: ইরান রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যস্থলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এরমধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে সরাসরি আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ৮ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।
রয়টার্স জানায়, শনিবার ইসরায়েলের স্থানীয় সময় রাত ১১টার একটু পরে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়। এ সময় জেরুজালেম ও ইসরায়েলের হাইফা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জানিয়ে তীব্রস্বরে সাইরেন বেজে ওঠে আর লোকজন বোম্ব শেল্টারগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করে।
পরে রাত আড়াইটার দিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আরেক পশলা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করে বাসিন্দাদের সুরক্ষা কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানায়। হামলা প্রতিহতে ইন্টারসেপ্টর রকেট ছোড়া শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, এ সময় বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে তেল আবিব ও জেরুজালেম। ইসরায়েলের আকাশজুড়ে দেখা যায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের ঝলক।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর হাইফার নিকটবর্তী তামরা শহরের একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত চারজন নিহত হয়। নিহতদের সবাই এক পরিবারের নারী সদস্য বলে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে।
তেল আবিবের পাশের শহর বাত ইয়ামে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হওয়া একটি ভবন। ছবি: ফ্ল্যাশ৯০
তেল আবিবের দক্ষিণের শহর বাত ইয়ামে আরেক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আরও চারজন নিহত হয়। এদের মধ্যে ৮ বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা মেগান ডেভিড আদমের এক মুখপাত্র দেশটির চ্যানেল ১২ নিউজকে জানিয়েছেন, রাতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলজুড়ে প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন।
বাত ইয়ামের আট তলা একটি আবাসিক ভবন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনটি থেকে অনেককে উদ্ধার করা গেলেও এখনও প্রায় ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে। এখানে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে বলে জরুরি পরিষেবার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
রাতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের কতগুলো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা পরিষ্কার হয়নি।