নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে টানা চার দিন ধরে চলা সহিংস বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রয়টার্সকে দেওয়া তথ্যে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য ও পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।
বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় সোমবার, যখন মুজাফফরাবাদ ও আশপাশের শহর থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামে। বিক্ষোভ ঠেকাতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর থেকেই পুরো অঞ্চলে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় কর্তৃপক্ষ, ফলে বাইরের দুনিয়া পরিস্থিতির পূর্ণ চিত্র জানতে পারছে না।
বিক্ষোভের জেরে বন্ধ রয়েছে স্কুল, ব্যবসা ও গণপরিবহন। অঞ্চলটির বড় অংশ কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তা শান্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন। এছাড়া রাজনীতিবিদদের নিয়ে পৃথক একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সরকার কাশ্মীরিদের সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
কমিটির সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেন, "আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে।"
এদিকে বিক্ষোভ আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শ্রেণির অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা শওকত নওয়াজ মীর বলেন, "আমরা যখন বলি হাসপাতালে ওষুধ নেই, তখন কর্তৃপক্ষ অর্থের অভাব দেখায়। অথচ বিলাসবহুল জীবনের জন্য তাদের কোনো ঘাটতি নেই।"