আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৪ জুন ২০২৫ ● ১০ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৪ জুন ২০২৫
মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা ‘অযৌক্তিক’, বলেছে সৌদি আরব

মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা ‘অযৌক্তিক’, বলেছে সৌদি আরব

কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা

কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা

যে কারণে ট্রাম্প থামতে চান না

যে কারণে ট্রাম্প থামতে চান না

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি নিয়ে যে বড় হুঁশিয়ারি দিলো ইরান

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি নিয়ে যে বড় হুঁশিয়ারি দিলো ইরান

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি নিয়ে যে বড় হুঁশিয়ারি দিলো ইরান

সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, বিকাল ০৭:৪৭

নিউজ ডেস্ক: ইরানের গোপন পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বোমা বর্ষণের ঘটনার পর তেহরান থেকে এসেছে কঠোর হুঁশিয়ারি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়েতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এখন থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটি ইরানের বৈধ লক্ষ্যবস্তু।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “মার্কিন আগ্রাসনের জবাবে এই অঞ্চলে আর কোনও মার্কিন সামরিক ঘাঁটির নিরাপদ অবস্থান থাকবে না। যে কোনও দেশ, যারা ইসরাইলি আগ্রাসনে সহায়তা করবে, তারাও টার্গেট হবে।”

ফ্রান্স ২৪-এর খবরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান ফোরদো, ইসফাহান ও নাতানজে অবস্থিত ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলা চালায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হামলার পর ঘোষণা দেন, “তেহরানের হাত থেকে পারমাণবিক বোমার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”

পেন্টাগনের দাবি, এই হামলার ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যদিও ইরান থেকে ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট তথ্য জানানো হয়নি।

হামলার পরপরই ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর (IRGC) জানিয়েছে, তারা হামলার উৎস শনাক্ত করেছে এবং প্রতিশোধের প্রস্তুতিতে রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবরও সামনে এসেছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজিসকিয়ান সাফ জানিয়েছেন, “যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার যথাযথ জবাব পাবে।” অপর এক উপদেষ্টা আলী শামখানি বলেন, “পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস হলেও আমাদের প্রযুক্তি, ইউরেনিয়াম এবং রাজনৈতিক সংকল্প শেষ হয়ে যায়নি। খেলা এখনও বাকি আছে, চমক আসছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি এখন আর শুধু ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইলের মধ্যকার দ্বন্দ্বে সীমাবদ্ধ নেই। এটি ছড়িয়ে পড়ছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। মার্কিন ঘাঁটি যেসব দেশে রয়েছে — ইরাক, কুয়েত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান — সেগুলোও ইরানের প্রতিক্রিয়ার শঙ্কায়।

মন্তব্য করুন


Link copied