স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী এলাকার দম্পত্তি রেবেকা সুলতানা (২৮) ও স্বপন ইসলাম(৩৫)। বিয়ের ৯ বছরে মেলেনি কোন সন্তান। সন্তান না থাকার কারণে দুরত্বের দিকে ছিলেন তারা। সেই সংসারে তিন জমজ সন্তানের আগমনের মাধ্যমে একটি নতুন জীবনের যেন সূচনা হলো। জমজ সন্তানেরা তাদের জীবনে নতুন আলো নিয়ে এলো এবং সম্পর্কের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করে তুললো। দীর্ঘ ৯ বছর সন্তান না হওয়ার যন্ত্রণার অবসানে এই দম্পত্তি মহা খুশী।
বুধবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার সময় নীলফামারী শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে এই তিন নবজাতকের জন্ম হয়। মা ও সন্তান সবাই সুস্থ রয়েছেন। নীলফামারী এমন এক ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিষয়টি শুক্রবার (২৭ জুন) জেলাজুড়ে ব্যাপক সারা ফেলেছে। স্থানীয়ভাবে এমন ঘটনায় ব্যাপক উৎসাহ এবং আবেগ সৃস্টি করে। অনেকেই এটিকে অলৌকিক প্রাপ্তি বলে আখ্যা দিচ্ছেন। চিকিৎসাসেবা ও মাতৃত্বকালীন ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এটি জেলার জন্য এক অনন্য সাফল্যের নজির হিসেবে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
স্বপন ইসলাম জানান, বিয়ের ৯ বছরেও সন্তানের মুখ দেখতে পাইনি। এ নিয়ে সংবাদে অশান্তি হচ্ছিল। তারপরেও স্ত্রীর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। নীলফামারীর প্রসূতি, স্ত্রী ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোছা: সুলতানা রাজিয়া লাকির চিকিৎসা ও স্ত্রীর গর্ভকালীন তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। যেখানে একটি সন্তানের জন্য কত প্রার্থনা। সেখানে মহান সৃস্টি কর্তা এক সাথে তিন সন্তান দিলেন। জমজ সন্তানেরা আমাদের স্বামী স্ত্রীর জীবনে নতুন আলো নিয়ে এসেছে এবং সম্পর্কের মধ্যে নতুন বন্ধন গড়ে তুললো। স্বপন বলেন কখনো কখনো জীবনের অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো আমাদের পথ খুলে দেয় এবং সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন করে। সন্তান না থাকার কষ্ট আজ আমাদের দাম্পক্তে নতুন করে জীবন শুরু ও আরও মজবুত করলো। তিনি তার স্ত্রী ও তিন জমজ সন্তানের সুস্থতা ও দীর্ঘজীবনের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
প্রসূতি, স্ত্রী ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোছা: সুলতানা রাজিয়া লাকি জানান, এই দম্পতির চিকিৎসা দীর্ঘ ও জটিল ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমত ও আধুনিক চিকিৎসার ফলে আজ তাঁরা এই বিরল সুখবর পেয়েছেন।